সমালোচনা সহজ অতি তাইতো করি ভাই
কাজের কাজে অশ্বডিম্ব প্রসব করি তাই
কাদের মোল্লা, কামারু আর সাকা মুজাহিদ
তাদের ফাঁসী দিলেও আমার নামে না তো জিদ
চ্যাতের চোটে মগজ ফোটে ফুটে বেরোয় সাপ
ভুল যদি হয়, চ্যাতের ঠ্যালায়, করিস রে তুই মাফ
ভালো কাজের সুনাম করবো? ধাতে আমার নাই
সমালোচনার ফুল বাগানে জন্ম আমার, তাই
ডাইনে গেলে-গেলি ক্যানরে, রাস্তা চিনিস না?
বাঁয়ে গেলে-বোকার হদ্দ, শোনে কোন মানা?
সোজা গেলে-যাবিই তো রে, ভোটের তো ধার নেই
বাঁকা গেলেও বলবি হেঁকে- কুকুর রে তুই, ছেই
কোন কিছু না করে যেই চুপে বসে থাকি
গলা ছেড়ে চিল্লাবি তুই, কাজে মারিস ফাঁকী
কাজের জন্য ছুটি যদি ব্যস্ততার এই কালে
তুইই আবার বলবি ডেকে, মারব থাপড় গালে
সবার অংশ খাস কেড়ে তুই সরকারের দালাল
তোরই জন্য এমন ভাষায় আমার গালাগাল।
বন্ধ হলে ফেসবুক বা হোয়াটস্‌-এ্যাপ-ভাইবার
মত প্রকাশে ভীষণ বাধা হাঁকিস রে এইবার
আবার যখন কথা হতে রাজস্ব যায় পড়ে
শত মুখে বলিস এটা সরকারের লোক করে
‘‘ডিজিটাল’’ এই শব্দটা আজ ছুঁয়ে গেছে গাঁ
প্রথম দিকে এইটা নিয়েও কইরাছো মস্করা
এখন যেমন গণতন্ত্র নিয়ে কান্না জোড়ো
অালবদরে মন্ত্রী হলে মুখে কুলুপ ভরো
বুকের পাটা থাকা ভালো, ভালো ভালো কাজও
আলো দেখেও তবে কেন, আঁধার সময় খোঁজো
এসব ছেড়ে সৃজনশীল হও, অনেক করার আছে
ফুটা খোঁজা বন্ধ করে নামো সৃজন কাজে
প্রতিটা দিন একটা করে ভালো কর্ম করো
নিজের পুত্র ভাই স্বজনকে দেশপ্রেমিক গড়ো।
তবেই হবে সোনার বাংলা সোনার মানুষ ভরা
সমালোচনা বন্ধ করে এবার আগে বাড়া।।


বিঃ দ্রঃ যতি চিহ্নহীন একটি কথার মিছিল, মিছিলে যেমন সবাই একতালে হাঁটতে পারে না, এখানেও সকল শব্দ এক ছন্দে ছুটতে পারে না। তবু মিছিল এগোয় নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। এ শব্দগুলো সেভাবেই এগিয়েছে। একে থামাতে চাইলেও থামবে না।