ট্রামের ক্যাচারে আহত হবার পর
হাসপাতালের বেডে শুয়ে জীবনানন্দ জানতেন না
তিনি বাঁচবেন না মারা যাবেন, জানতো না পাঠকও।
কিন্তু মৃত্যুর পর তিনি দ্বিগুণ প্রাণে জেগে ওঠেন
জীবিত সময়ের চেয়ে অধিক আলোকবর্তিকা হয়ে
অালো ছড়ান বেলা অবেলা সারাবেলা।


তাঁর এই জেগে ওঠো মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি জ্যোতিময়,
কেননা, তাঁর মত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার নিন্দুকেরও মৃত্যু হয়।
কিন্তু তাঁর পুনর্জন্মের সাথে নিন্দুকের পুনর্জন্ম হয়নি;
নিন্দার হয়েছে চিরমৃত্যু।
২য় জন্মে জীবনানন্দ কেবলই ভাস্বর, বাঙ্ময় এবং প্রকাশিত।


আজ ভূমেন্দ্রগুহ চলে গেলেন, জীবনানন্দের সকল আলো
প্রাণের ভিতরে নিয়ে, আর কি পাবো জীবনানন্দকে নিজস্বতায়!
ভূমেন্দ্রগুহ-তিনি এক সাথে দুই কবি।
তাঁর চলে যাওয়ায় আজ শুনি জীবনানন্দের ২য় মৃত্যু সংবাদ,
একজীবনে দুই মৃত্যু ক’জনের হয়!!


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
২০ ডিসেম্বর ২০১৫; রবিবার; ৬ পৌষ ১৪২২//ঢাকা।