অমাবস্যা দিয়েছ, প্রেম দিয়েছ, অশ্রু নদীর ধারায়
গড়েছ প্রেমের বৃন্দাবন, যেখানে
অনুমতি নেই প্রবেশে আমার।
তীব্র দৃষ্টি ছুঁড়ে বিদ্ধ করেছে অপলক চোখ,
দৃষ্টিহীন করেছ বুকটাকে, অন্ধ হৃদয় নিয়ে
খুঁজছি তবু. সেই তোমাকে-আমি আগন্তুক।


বিশাখার সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ লঞ্চঘাটে,
জনস্রোতের ভিতরে, হাত থেকে ছুটে গেছে
তার সন্তান-আহ্‌ জনস্রোত!
উৎকণ্ঠিত মায়ের চোখ খুঁজে ফেরে রক্তজাত ধন।
আমি নির্ধন-তুলে দিই মায়ের হাতে সে অমূল্য ধন;
তার সাথে আমার আর কথা হয়নি-হায় রাত!!


জল কেটে লঞ্চ চলে-দীর্ঘ পথের যাত্রা
হিস হিস ছলাৎছল, নদী গর্জে, আক্রোশে ফোঁসে
পাটাতনে জলের ছোবল।
আমি বিশাখার দেখা পাই মাঝরাতে
নিঃসঙ্গ করিডোরে ঘুমভরা চোখে-নির্জনে।


কেবিনে ঘুমায় শিশু, নিভু নিভু আলো ভরা নদী
কোন কথা নেই, পাশাপাশি যদিও
ঝুঁকে আছি রেলিং এ ভর দিয়ে নদীতে-
জল যদি কথা কয়ে ওঠে
চন্দ্রালোকিত কুয়াশায়, ভাষা ফোটে যদি!!


(চলবে.......)


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫; সোমবার; ১৪ পৌষ ১৪২২//ঢাকা।