চুল ওড়ে-এলোমেলো হাওয়া, বেহাগের সুর বাজে বুকে
কে এই বিশাখা নারী? নাম জেনেছি তার আরো পরে।


উত্তর গোলার্ধ থেকে যাবে সে দক্ষিণে একা- নীলান্ত সাগর
একা পথ, একা হাত, আর চোখে প্রত্যাশিত কাঙ্খিত ভোর
বিশাখা বলেছে আমাকে, তার ছিল নীলের প্রচ্ছায়া চোখ
এক ভোরে খুবলে খেয়েছে চিল, দিয়ে গেছে অমোঘ সত্য
অনাকাঙ্খিত মাতৃত্বের আনন্দের মাঝে অপ্রত্যাশিত শোক।


না-
ঘর তার ছিল না কোনদিন, ছিলনা সাজানো শয্যা কোন,
সবল পুরুষ এসেছে, দিয়ে গেছে শস্য কণা, ফসলের অগণন বীজ
কাঁপা কাঁপা মোমের আলোয় গুছিয়েছে চুল যত।ভোলেনি কখনো।


তবু এক ভোরে শরীর খনন করে পাতাল থেকে তুলেছে ডুবুরী
অমূল্য মানব রত্ন, অযাচিত শিশু এক শয্যা আলো করে
অবোধ শিশু দ্যাখে পৃথিবীর বাথান। জানে না পিতাহীন শিশু
পিতার মূল্য কত আগামী ভোরে। কে তার হাত ধরে দাঁড়াবে পথে!


বিশাখা চলেছে সাগর সাঁতার দিতে, একাকী এবং পূর্ণ শংকাহীন
পুরুষ আর কি করতে পারে? দেনা। নারীর কাছে আজন্ম এক ঋণ।


স্ফুরিত সময়; ২০ জানুয়ারি ২০১৬; বুধবার; ৭ মাঘ ১৪২২; ঢাকা।।