মেঘ গিয়েছে মামার বাড়ি, ছেঁড়া জামা গায়ে
আধেক ঢাকা ছিল যখন আধেক ছিল খোলা
হাওয়ার চলন হয়নি শুরু তাড়াও নেই পায়ে
মেঘের সাথে হাওয়ার বাঁধন আজও বাদুর ঝোলা।


উত্তরী বায় কুয়াশা ধায়, কপাটে দিই খিল
এমন সময় পালিয়ে গেছে, ঋতু বিচিত্র যত
শীত-গ্রীষ্ম আর বর্ষা আকাশ অন্তনীল
পরিবর্তন ধকল সয়ে পারবে সে আর কত!


সব হারিয়ে বৈচিত্র্য এখন ধূসর কাল
বসন্ত দেয় মনের ঘরে উদাস দিনের ভাপ
জানলা খুলে বাইরে তাকাই, স্তব্ধতার ছাপ
চিন্তা শোনে কোকিলের গান, গন্ধ আমের বোল।


অাবদ্ধ মন অপেক্ষাতে আবার জাগতে হবে
হারানো এই বাংলা ফাগুন, আবার রাঙবে কবে
আবার কবে পলাশ শিমুল জাগাবে বাঙ্গালী
আবার জাগছে দুর্ভাষ, তাকে আবার রুখতে হবে।


বাংলা ছেড়ে আরবী ধরে, ইংরেজী মাধ্যমে
শিখছে ছেলে ছড়ার বদলে রাইম অন্য বোলে
লেখার উপরে ‘মাদ’ থাকলে কতটা টানতে হয়
উৎকৃষ্টকে বুঝাতে হলে একসেলেন্ট-ই কয়।


মূর্খ বাপ মা বোঝে না বাংলা ভাষার শিক্ষা ধারা
ইংলীস ভারসনে পড়ায়, শিক্ষা জোড়া তালি
আবার যুদ্ধ দুয়ারে দাঁড়িয়ে, পরগাছাদের বাড়া
নিধন করতে ফুলকে বাঁচাতে সজাগ হও রে মালি।


২২ মাঘ ১৪২২; বৃহস্পতিবার; ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
স্ফুরিত সময়//নিজগৃহ, ঢাকা।