পানি, পথ ভুলে যাও কোন নদে, নিজের দেহ ছেড়ে?
কখনো তিস্তা-মহানন্দা খাল, কখনো মেচী বা কখনো ফুলহার
আবার কখনো মানস সাংকোচ, শুষে নেয় স্রোত তোমার
নির্লজ্জ নিঃসঙ্কোচ!
তিন স্রোত হারিয়ে কখন যে স্রোতহারা হয়েছ, জান কি?


চিতামুর হৃদয় নিংড়ানো জল, পান করে কেবল
দার্জিলিং-দুয়ারের তৃষিতরা শান্ত হবে
চিতামু কি এমন ভেবেছিল!
নাকি ভেবেছিল হিমালয়ের বরফ গলা জলধারা?
কিন্তু তারা প্রকৃতির সে দানকে কেড়ে নিয়েছে।
পানি, তুমি কি মানতে পারো তা?
পারে কি সারথী পাহাড়ী ঝর্ণাদল? চলছে প্রতিবাদ আয়োজন।


শুকিয়েছে ধানসিঁড়ি, জলাঙ্গী, শুকিয়েছে খড়িবাড়ীর ওপার;
যদিও গজলডোবা ডুবিয়েছে ডুয়ার্সের সমতলভাগ,
কিন্তু বাড়িয়েছে অসন্তোষের দাবানল, সেখানেও লাগে জল,
জল ছাড়া নিভাবে কিভাবে? হে জলকাড়া, দেখো ভেবে।


আমার তৃষ্ণা শুষে খাবে হৃদপিন্ড তোমার, ভয় করে না কারবালা
ও বেলা তোমার ছিল, আজও আছে, আমার রয়েছে এ বেলা
আগামীর কারবালা; পারলে রুখে দিও,
না পারলে জল দিও ঢেলে, বুকে বইয়ে দিও
রক্তের বদলে শান্তির ধারা। নয়তো আছে কারবালা।


পানি, তোমার জন্ম শান্তির জন্য, জীবনের জন্য,
বেঁচে থাকবার জন্য, তোমার জন্যই তবে কেন এত জ্বালা!!
বুক জ্বলে ঝালাফালা!!
পানি, অবারিত ধারা হয়ে, বাঁধ ভেঙ্গে ঢল হয়ে নেমে আসো,
তিস্তা বেসিন ভিজিয়ে, ভাসিয়ে, ডুবিয়ে শান্ত করো
বাংলার সবুজ কোমল অঙ্গন, আবৃত উর্বর পলিমাটি।।


২৩ মাঘ ১৪২২; শুক্রবার; ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
স্ফুরিত সময়//নিজগৃহ, ঢাকা।