নক্ষত্র গিলে খাওয়া কালো রাতের এক চিলতে বারান্দায়
যখন, শেষ প্রহরে, কিছুটা আলো ঠিকরে আসে
মিল্কিওয়ে থেকে, আবছায়ায় ভেসে ওঠে পৃথিবীর মুখ;
নিশ্চল নিশ্চুপ স্তব্ধতার ভিতরে বেড়ালের মতো, যেন,
দু’টো চোখ জ্বল জ্বল করে জ্বলে ওঠে;সহসা।


আধখাওয়া সিগারেট, একবিন্দু আগুনের ধীর লয়ে
ওঠা-নামা, পোড়া তামাকের জেসমিন সৌরভ,
পিছনে পদশব্দ.......ক্রমশঃ পাশে এসে থামে;
জেসমিনের সৌরভ ছাপিয়ে যায়, সমগ্র আরমানীটোলা
এসে ভীড় করে সেই বারান্দাময়; বিমোহিত হাওয়া।


সেটা স্পর্শের পরে স্পর্শাতীত সময়, কথার পরে নির্বাক
স্তম্ভিত মুহূর্ত এবং অনুভূতির প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়ার
জন্য অপেক্ষমান অনুভূতিহীন দৃশ্যকাব্য মাত্র।


শব্দের অবগুন্ঠন খোলে স্পর্শের ভাষা, নিঃশ্বাসের ঝড়
নিভিয়ে দেয় জীবন্ত আগুন, লক্ষ আলোক বর্ষ থেকে
ছুটে আসা আলোকরশ্মি হঠাৎ আলোকিত করে
এক চিলতে বারান্দা, যেন ধুমকেতু, ভেদ করে আবার
চলে যায়, অনন্ত পথে; মাঝে কয়েকটি অমূল্য সেকেন্ড।


সে আমাকে বলেছিল, তুমি এত মন্দ কেন, রাতভর
জেগে থাক আর ঘুম নিয়ে খেলা কর...., হয়তো তারও।
আমি সেই থেকে তার অপেক্ষায় কিউপিড হয়ে আছি;
সে আসবে, কাঙ্খিত শরে বিদ্ধ করবে আমাকে।
আর কতকাল আমাকে অপেক্ষা করতে হবে! কতকাল!


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; সোমবার; ০৩ ফাল্গুন ১৪২২।
স্ফুরিত সময়; ঢাকা।