তখনও ফোটেনি রৌদ্র আতপ, যানজট-ব্যস্ততা
যদিও অফিস পুরোদস্তুর খুলেছে কাজের খাতা
বাতাসে দেখেছি ফাগুন মাখা ফুলের আদর ছোঁয়া
প্রকৃতির মাঝে দেখা যায় নি কোনরূপ কালো ধোঁয়া।


তবুও সেদিন নীলাকাশটাকে ছাপিয়ে বেজেছে বীণ
ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখে মনে জাগে একাত্তরের দিন।
পার্থক্য ছিল এইটুকুতে তা ছিলো দিন নয় রাত
ধরণ কিন্তু একই ছিল তার, হত্যা ও রক্তপাত।


সময় ছিল সকাল আটটা ও পঁচিশে ফেব্রুয়ারি
নগর ঢাকার পিলখানাতে লেগেছিল মহামারী
হঠাৎ করেই বুনো পিঁপড়ে সার করে ঢিবি ঠেলে
বেরিয়ে আসে দরবার হলে ‘প্রধান’ হাজির হলে।


গর্জে উঠেছিল রাইফেল আর অশ্রাব্য মুখ-ভাষ
রক্তের বান বয়ে গিয়েছিল পিলখানা, আশপাশ
হত্যা করেছিল সেনা অফিসার, পরিবার, পরিজন
ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তারা, অস্থির কতক্ষণ!


মাটির গভীরে পুঁতে ফেলেছিল, একসাথে কতসেনা
তাদের ক’জন উঁচু পদে ছিল, কয়জন আধোচেনা
স্যুয়ারেজ নর্দমা দিয়ে ভেসে যায় কত সেনা
মৃত্যু যে এমন জঘন্য হয়, ছিল না তা কারো জানা!


বিদ্রোহীদের দমন হয়েছে, হয়েছে বিচার শুরু
কিন্তু আজো উদঘাটন হয়নি এ নাটের গুরু
কারা করেছিল দেখেছি তাদের প্রকাশ্য ছিল সেটা
করিয়েছে কারা, কেন করিয়েছে, জানি না সে নকশাটা।


বিচার হয়েছে, বিদ্রোহ নেই, বদলেছে বিডিআর
বিজিবি হয়েছে নতুন পোশাকে হয়েছে আইনী দ্বার
নতুন করে সেজেছে বাহিনী নতুন বিধি ও বিধান
দন্ডিতদের সাজাদান হলে তা হবে প্রতিবিধান।।


২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; বৃহস্পতিবার; ১৩ ফাল্গুন ১৪২২
স্ফুরিত সময়//ঢাকা।