ভালবাসা যখন অর্থহীন তুচ্ছ অপাংক্তেয়
তখন বুকের ভিতর উথলে ওঠা আবেগ
নিতান্ত আগ্নয় লাভা ভিন্ন কিছু নয়,
নিজেকে উথাল-পাথাল করে, দহন পোড়ন শেষে
ভেঙ্গেচুরে, প্রবল কান্না অথবা আহাজারীর মতো
সব কিছু বিস্ফোরিত হয়ে বেরিয়ে আসবে,
নিজেকে ধ্বংস করে, চারপাশ বিনাশ করে
ভাসিয়ে নেবে পরিপার্শ্ব;
ভালবাসা যতটা সৃজক, ঠিক ততটাই ধ্বংসাত্মক
যদি তা না হয় সুপাত্রে পরিপুষ্ট ।


ভালোবাসাহীনতা কখনোই সৃজনশীল নয়, যা
পারে কেবল ক্লেদাক্ত, তিক্ত ফলবীজ উপহার দিতে।
ভালোবাসাহীনতার দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়
প্রতিটি চরণে উঠে আসে ঘৃণা, ধুলি, বালি আর বিদ্বেষ
অসহযোগিতা আর অমঙ্গল কামনা, অশুচি কামনা
ধীরে ধীরে নীল করে তোলে সবকিছু, অবধারিতভাবে।


একটি দেশ, মা ও মেয়ে, নারী
একই পক্ষপূটে তিনি পল্লব, এক সাথে বাঁধা
তোমার অবহেলায়, অযত্নে, অপরিচর্যায়
ক্রমশঃ বিনাশ হয়ে যেতে পারে, যা ঘটছে আজ
বাংলাদেশে, সরকার যন্ত্রের প্রতিটি কলকব্জাতে।


পীড়া দেয়, পোড়ন দেয়, কষ্টে বন্ধ হয়ে আসে শ্বাস
কিন্তু যারা এই কলকব্জার কাঠমোর শিরে, চোখে বা বুকে
বরস আছে, তাদের কিন্তু কিচ্ছু যায় আসে না এ দীর্ঘশ্বাসে।


রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকারযন্ত্র এখন উন্মার্গে
যারা ভালবাসে এই দেশটাকে, মানুষ, মাটি ও প্রতিবেশকে
দেখে মনে হয় তারা আজ স্টোন ফরেস্ট-প্রস্তরীভূত;
কালনাশী এক মেঘমালা আজ ক্রমশঃ
ঢেকে ফেলছে সবুজ প্রান্তর, সূর্য ও ঘাস
অন্ধকারের সঞ্চরণশীল মেঘমালার ক্রমবিস্তারের সাথে সাথে
তারা গুণছে মৃত্যুর সুশীতল প্রহর, প্রতিমুহূর্তে।


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; রবিবার; ১৬ ফাল্গুন ১৪২২
স্ফুরিত সময়//ঢাকা।