১.


সেই কবে থেকে প্রতীক্ষার চোখ মেলে
তাকিয়ে আছি মহান অঙ্গনের দিকে, যদি
মহামান্য মুখ তুলে তাকান এই নিগৃহীত
নিষ্পেষিত, নির্যাতিত, লান্ছিত, হত্যায়-রক্তে
ধৌত মানুষ, পরিবার, গোষ্ঠীর দিকে-যারা
প্রার্থী-যারা নিঃসহায় এবং বোবা দীর্ঘকাল।


মহামান্য যেদিন চোখ তুলে দেখবেন জীর্ণ, শীর্ণ
দুর্বল, প্রতিনিয়ত পদদলিত মানবতার স্বাক্ষীর
জলছাপ শুকনো মুখাবয়বের দিকে, সেদিন
আকাশ যতই গুমড়োমুখের হোক না কেন
নতুন এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকাল হাসবে।


আজ মহামান্যের ন্যায় বিচারের প্রত্যাশ্যার
বিনিদ্র প্রহর গুণছি, প্রহরের আাঁধার কাটবে!!!


২.


যার মৃত্যুর জন্য তীর্থের কাক, তার দেখা নাই
অথচ একঝলক হাওয়ায় ঝরে পড়ে বৃক্ষ
অযাচিত সৌরভের মতো ভেসে আসে
খালিদের মত্যুর গন্ধ, বাতাস প্রাণ নিয়ে যায়।


একটি বৃক্ষের কী এমন প্রয়োজন ছিল
পলকা হাওয়ায় ঢলে পড়বে পথের উপর,
গুঁড়িয়ে দেবে সৃষ্টিশীল প্রাণ, ঘোষণাহীন?
আমি অবাক হয়ে ভাবি পৃথিবীতে যার প্রস্থান
অতি কাঙ্খিত, সে কীখাবে টিকটিকির মতো
শতবর্ষ বেঁচে থাকে, আর সিংহ শার্দুল তূল্য
তারেক মাসুদ, মিশুক মনির, খালিদ মাহমুদ মিঠু
এ রকম প্রয়োজনীয় প্রাণ নিমেষেই
কর্পূরের মতো উবে যায়! হায়!! হায়!!!
এভাবে কি কাউকে যেতে দেয়া উচিত, না যায়!