কিছু কিছু ছিন্ন পাতা উড়ে এসে জুড়ে বসে
বইয়ের পাতার ভাঁজে সযত্নে,
কিছু কিছু পাপড়ি আলগোছে ঠাঁই করে নেয়
প্রিয় পৃষ্ঠামালা অথবা ডায়েরীর পাতার ভাঁজে,
কিছু কিছু ঝরা পালক আছে তারও ঠাঁই হয়
অবলীলায় কোন মহৎ লেখায় বা স্থানে;
সবই জানি আমরা সবাই এবং হয়তো বুঝিও এর মর্ম,
তবু বার বার এই ভুলের সোৎসাহে পুনর্জন্ম, পুনরাগমন,
বিচলিত করে-করে না? উত্তরহীন প্রশ্ন জাগে।


আমি কতবার মাথা ঠুকেছি ভুলের পাথরে
কতবার ডুব দিয়েছি ভুলের মহাসাগরে,
কতবার প্রার্থনা করেছি ভুল বেদীতে, প্রাণভিক্ষার মতো
দেবতা প্রসন্ন হয়নি, প্রসন্ন তো দূরের কথা
মুখটি তুলেও তাকায়নি, বরং শূন্যকক্ষের প্রতিধ্বনি হয়ে
আমার প্রার্থনা আমাকে তিরস্কার করেছে,
আমার সমুদ্র মন্থন আমাকেই বেলাভূমে আছড়ে ফেলেছে,
পাথর নির্বাক থেকেছে, মহাস্থবির হয়ে, আমি দেখেছি।


যদি না ফিরি আর, যদি না চাই আর অথবা
কোন ভুল যদি আর না করি, যদি নিজের এই মহারণে
তীব্র বেগে চালাই ছুরি-তলোয়ার-বুমেরাং দুই হাতে;
যদি নিবিড় নৈঃব্দের ভিতরে নিবিষ্ট হই
শেষবারের মতো, যদি অভিযোগহীন-প্রতিকারহীন
ভালোবাসাহীন এবং প্রশ্রয়হীন এক জীবন পেরিয়ে
নিজেই নিজেকে খুব ভালোবাসি, ভালবাসি খুব খুব
প্রশ্রয় দিই নিজের ভেতরের শিশুটিকে,
মুছে দিই চোখ, ভিজে যাওয়া ক্ষয়িষ্ণু গাল;
আর দৃঢ়ভাবে পরিত্যাগ করে বেরিয়ে পড়ি সেসব
নিজের পথে, রথে অথবা স্বরচিত স্বর্গ্বোদ্যানে....
কেউ কি আমার দোষ দেবে? অভিযোগ করবে?
করুক, অথবা না করুক, আমার কি আসবে যাবে তাতে!
না।........আমার এই ফেরা না ফেরার উপখ্যানে
আমি ছাড়া আর কারো কোন ভূমিকা বা দায় থাকে না।


১৮ মার্চ ২০১৬; শুক্রবার; ০৫ চৈত্র ১৪২২
স্ফুরিত সময়//দিনাজপুর।