বাতাসে বারূদের গন্ধ, বসন্তের বাতাসে পাই রক্তের ঘ্রাণ
শ্বাপদের ক্ষুরধ্বনি শুনি দূরাগত ধ্বনির মতো,
শুনি পাথরের সিনার উপরে ঘর্ষমান তরবারীর ঘর্ষধ্বনি;
তোমরা কি শুনতে পাও সে আওয়াজ, তোমরা কি দেখতে পাও
সহস্র হ্রেষা, ধূসরিত ধুলোর মেঘের ক্রমশঃ এগিয়ে আসা?
তোমরা কি প্রস্তুত এই ধাবমান অশ্বারোহীর প্রতিরোধে?
মুখে মুখে ভালোবাসা আর বাউরী বাতাসের কোমল উদাসী
স্পর্শের মতো আবেগের নরোম পালকে স্পর্শ করলেই কি
রক্ষা করা যাবে এই দেশকে ধেয়ে আসা অকাম্য বিধ্বংসী
আশু আগামীর পঙ্গপালের সর্বভূক ক্ষুধা থেকে?


আরেকবার তোমাকে নড়ে চড়ে বসতে হবে, দেখতে হবে
ঘুরে ফিরে, আগা পাশ তলা; এখন আর চোখ বুঁজে পড়ে থাকার সময় নেই।
চোখ খুললেই দেখতে পাবে, তোমার প্রস্তুতির অপেক্ষায়
দেশ মাতৃকা, তোমার প্রতিরোধের প্রস্তুতির অপেক্ষায় প্রিয় মাতৃভূমি
আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, স্বাধীনতার এই দিবসে আমার কামনা।