শূন্য আকাশে ওড়ে যেন শাদা স্বপ্নের দল
ভেসে চলে আশা-দুরাশার সরণী ধরে
কখনো বৃষ্টি, কখনো ঝড়, কখনো তুষারের হোলি খেলা;
সময়। সময় অনেক কিছু পানসে আবার অনেক কিছু প্রোজ্জ্বল করে তোলে।
পানসে জীবন, আলোহীন পথ চলা, নিরাশার সহস্র বুদ্বুদ
ভেদ করে যদি উঠে আসে পঙ্কজ, তেমন আশা কি
ভুল করে বাসা বাঁধে অস্থির সময়ে!


বেঁচে থাকার এই উদগ্র আকাঙ্খার নামই জীবন,
মরি কি বাঁচি সে কিছু নয়  বরং কতটা মরেছি বা
কতটা বেঁচে আছি, কতটা টেনে ধরেছি তার লাগাম,
সেটাই জীবন, সেটাই জীবণের প্রণোদনা।
যাকে কখনো পাইনি সেটা ভ্রুণ ছিল, অঙ্কুরে বিনষ্ট,
যে আছে উঠোন জুড়ে, হতে পারে মাটির উঠোন বা
মনের উঠোন ভরে, কবিতা মেখে, সেটাই জীবন।
যা কিছু গড়িয়ে নিচ্ছে তোমাকে বা আমাকে, যা কিছু
বা যে আছে করোটি জুড়ে, মাখিয়ে দিচ্ছে দেহ মন ভাষা
তার নাম ভালবাসা, যে ছায়া দেয় জীবনের প্রগাঢ় রোদ্দুরে।
যে বিছিয়ে রাখে স্বপ্নের বরফকুচি মেশানো পানের গেলাশ, সেটা আশা।
আশা আর ভালবাসায় গড়া এই রক্ত মাংসের দেহ
আর কতক্ষণ, এতো স্ফটিক-কর্পূর,
এখান থেকেই জীবনের নতুন রচনা।


২.


মন ভেজাতে চাই না সখী
ভিজেই আছে সেটা
অনেক করে ভেজার পরে রোদ,
শুকিয়ে দেবে বর্ষাস্নাত
মাঠের নরোম মাটি
থেমে যাবেই প্রবল কান্না স্রোত।


মন কোরানা ছোট, সখী
উদার রাখো তাকে
মুক্তি তোমার নিজের মুঠোয় পোরা,
নিজের বুকের আয়নাটাতে
নিজের জীবন দ্যাখো
ভুল মুছে নাও, আলোয় ভূবন ভরা।