(মে দিবসের লাল সালাম/রেড সেলুট
  হে শ্রমজীবি মানুষ, শুধুই শ্রমিক নয়, শ্রমজীবি
  সবাইকে, এমনকি নিহত দর্জি নিখিলকেও)


হে মার্কেট কি কাপড় বেচত, নাকি?
সেখানে কি কাপড় সেলাই হতো?
নাকি সেখানে জুতোর দোকান ছিল?
সেখানে কি ছিল চেইন কিচেন কোন?
না সেখানে ছিল কি সুপার শপ?
নাকি ছিল রেস্টুরেন্ট, ডিনার প্লেস?
সেখানে কি শুধু শ্রমই বিক্রী হতো?
নাকি সেখানে কিছুই ছিলো না কোন!


হে মার্কেটে হলো দাবীর জন্ম চীৎকার!
আমেরিকা ত শ্রমেই তৈরি হলো,
মে দিবসেই সমাপনী ডিনার পার্টি
রান্না সেখানে শ্রমিকই করেছিলো, নাকি?
কেউ ভাবেনি শ্রমিক দিনের কথা,
ওবামাও তাকে স্মরণ করেনি ভুলে
এমনকি কোন শ্রমিকও ভাবেনি সেটা
আমার তাহলে এতটা কিসের দায়?


শ্রম দিবস, তাই, চাঁদার অর্থে ভাসে
কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের মালিক
লাখ লাখ টাকা চাঁদার অর্থ গোণে
লাল দিবস মচ্ছবে মাতে, নেতা
সামনে রোস্ট আর পিছনে ভাগের খাতা
মালিক ছাড়া এমপ্লয়ী-শ্রমিক নেতা।


দিবস আসে যায়, আগুনে পোড়া পিঠ
সন্ধ্যার পরে হাসিনা মার্কেট জ্বলে
লেলিহান আগুন পোড়ে শ্রমিকের পেট,
আগামী সকাল খানাহীন সারাদিন।
শ্রম ক্ষয়হীন, শ্রমিকরা ক্ষয়ে যাবে
হে মার্কেট, (পোড়া) হাসিনা মার্কেট পাবে।


মে দিবসের শেষে এরচে’
সুন্দর উপহার আর কি আছে
শ্রমিকের ঘামে নতুন মার্কেট
হবে পোড়া হাসিনার কাছে।


বট ও পাকুড় (দগ্ধ ও সিক্ত)/ঢাকা।
০১ মে ২০১৬/রবিবার/১৮ বৈশাখ ১৪২৩।