ওম শান্তি!
জগতের সকল প্রাণী, মানুষ ও মুসলিমকূল শান্তি পাক।


শুরুতে


‘‘আমি দু’হাতে করে চন্দ্র-সূর্য এনেছি, তোমাদের দেব বলে,
তোমরা বলো কি ভাবে নেবে?’’
দেবতা স্বর্গ থেকে ভূ-স্বর্গে নেমে মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেন,
‘‘মানবকূল আলোচনা দিয়ে শুরু করলো
সভ্যতার প্রথম সমস্যার সামাধান প্রচেষ্টা’’।


কেউ বলল, ওটাকে আমাদের গোত্রের হাতে দিন,
কেউ বলল, ওটা আমাদের দিন, আমরা ওটার যোগ্য,
একদল বলল, যারা মানুষের জন্য খাবার জোটায় তাদের দিন,
অন্যদল বলল, না না তা কেন, এটা দিন তাদের হেফাজতে
যারা মানুষকে শত্রু থেকে রক্ষা করে,
একজন বুড়ো মানুষ বলল, কাউকে না দিয়ে ওটা রাখুন
আপনার কাছে,
প্রয়োজনে আমাদের ব্যবহার করতে দিলেই চলবে।


দেবতা বললেন, ‘‘কিন্তু স্রষ্টার উপহার তো ফিরিয়ে নেয়ার উপায় নেই’’।


একজন তরুণ বললেন, তাহলে ওটা ওই মাঠে রেখে দিন
ওখানে রাখলে সবাই পাবে,
শুনে আরেকজন বলল, না না মাঠে রাখা যাবেনা,
ওটা বরং ঐ যে বন দেখছেন তার কাছে রেখে দিন,
আরেকজন টিংটিংয়ে কুচ্ছিত দর্শন অালু-থালু মানুষ বলল,
এত সব করার কী দরকার, পারলে ওটাকে
আকাশে ঝুলিয়ে দিন, তাহলে সবাই পাবে,
শুনে একজন চোখ কুঁচকে কপালে ভাঁজ করে বলল,
এক সঙ্গে চন্দ্র ও সূর্য? কেমন হাস্যকর না!
সরল দর্শন একজন বলল, তাহলে ও দুটোকে আকাশের
দুই প্রান্তে স্থাপন করুন, কেউ যেন কারো মুখ না দেখে।
আরেকজন মাঝবয়সী বললেন, আর..ওদের জন্য একটু চলাচলের
সুযোগ রেখে দিন, যাতে মর্ত্যের সবখানে তাদের আলো পৌঁছে।


দেবতা এবার প্রীত হলেন, সূর্যকে পূবের আকাশে আর
চন্দ্রকে পশ্চিমাকাশে ঝুলিয়ে বিদেয় হলেন উর্ধাকাশে।
মাঝে মধ্যে পথপরিক্রমায় তাদের ত্বরিৎ দেখা হয়
তখন চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ লাগে, ভীত প্রাণিকূল পালায় তখন।
তখনই আবার দেবতার আগমন হয়, তিনি পৃথিবীকে জানান দেন,
‘‘হে প্রাণিকূল, হে মানব জাতি, ভয় পেয়ো না,
এ আঁধার কেটে যাবে অল্প কিছু পরে,
মহাকালের তুলনায় এ অন্ধকার কিছুই না,
তোমরা ভয় পেয়ো না, আবার আসবে আলো,
সে পর্যন্ত বেঁচে বর্তে থাকো, নিজেরা নিজেদের ধ্বংস কোরোনা,
স্রষ্টা তোমাদের বড় বেশি ভালবাসেন,
তোমাদের কোন অমঙ্গল তিনি চান না।’’


শুরুর পরে


প্রবল অন্ধকার কেটে আবার আসবে আলো
দেবতা আবার এসে সব ভয় ধুয়ে মুছে বরাভয় দেবেন।
অস্থিরতা রেখে স্থির হয়ে বসে আলোর আগমন অনুভব করো।
অলৌকিক আলো হাতে আছেন সামনে দেবতা-তার পিছনে স্রষ্টা ।


বট ও পাকুড় (বিশ্বাস)/ঢাকা
২৭ বৈশাখ ১৪২২/মঙ্গলবার/১০ মে ২০১৬।