থাক, কবিতা লিখে আর কাজ নেই, এখন
লাইকেই খ্যাতি বেশি, করিৎকর্মা,
সময় কম লাগে, মাথা খাটাবার প্রয়োজন নেই
পুরোটা দেখারও কোন দরকার হয় না, তবু
বন্ধুরা তাতেই বেজায় খুশি।


আজকাল আর কবিতা লিখে কাজ নেই
বাজারে চটের ব্যাগও ত্রিশ টাকা দাম, খাদি পাঞ্জাবীতে
আজ কোন লাইক পড়েনা, সবাই পরছে
হাল ফ্যাশানের কারুকার্যময় বডি-টাইট পাঞ্জাবী,
ফ্যান ছাড়া আজ আর পার্কের গাছতলেও থাকা যায় না।


কবিতা ছেড়েই দিলাম, কারণ, বাংলাদেশের
একটি মানুষও কি আছে, যে কবিতা লেখে না!
আমার পাঁচ বছরের শিশুও মুখে কবিতা বানায়
বড় জন সেটা কাগজে লিখে ওকে পড়ে শোনায়,
কবিতা লেখা নির্বুদ্ধিতার চেয়েও সহজ কাজ,
ওটা বাজারে চলে না।


বিজ্ঞাপন ছাড়া কবিতা চলে না, এজন্য দেখি
প্রতিদিন কবিতার পাঠক কমছে, কবি কলম ছেড়ে
পেইন্টিং নিয়ে ব্যস্ত, জর রং, তেলরং।
কবিদের লেখা কবিতার পাড়া খাঁ খাঁ করছে,
ওখানে অকবিরা ছড়াচ্ছে ধর্মবাণী।


থাক কবিতা নিয়ে কচকচানি বন্ধ, এখন বরং গুণে দেখি
ক’জন মোসাদের পা চাটল ক’জন দালাল বা
ক’জন ভিক্ষু মরল, জবাই নয় কোপাইয়ে, আনাচে-কানাচে,
ক’টি ধূসর বুকের শালিক মরলো ধাত খেতে গিয়ে
সে সবই ভালো, বাংলা মুল্লুকে, ইসলামী বাংলায়।
সব কিছু গোছানো সারা, অপোগন্ডগুলো মরলেই
পা ছড়ায়ে বসি।
তারপর চিবিয়ে খাই সব কবির মুন্ডু বা কবিতার পাতা।


বট ও পাকুড় (বৃষ্টি ছোঁয়া)/নিজের গ্রাম।
১ জৈষ্ঠ্য ১৪২৩/রবিবার/১৫ মে ২০১৬