তোমাদের এই কথালাপ, এত হাসি সংলাপ
অবিরাম খুনসুটি-আমার সহ্য হবে না, হবে না।
এত যে আনন্দ, স্ফুরণ, উড্ডয়ন, বিচরণ
অবাধ ও আপাতঃ নিষ্কলুষ পদচারণা
আমার জন্য আপাদমস্তক বিড়ম্বনা, বিড়ম্বনা।


আমার যে পৃথিবী, আমার যে একান্ত আকাশ
আদিগন্ত নীল, আর ধোঁয়াটে বাতাস
পাঁশুটে বিবর্ণ দৃষ্টি, অমোচনীয় মলিন জীর্ণ মুখচ্ছবি
তোমাদের অফুরন্ত প্রাণময়তার ধারাকে
স্তব্ধ না করলেও তিক্ত-বিব্রতকর পরিস্থিতি
সৃষ্টি করতে পারে এক নিমেষে।


নিজের ভেতরের যে জন মনের কলকব্জা নাড়ে
তোমাদের এই অনবদ্য পীড়ন, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ
নিত্য দহন করছে তাকে, সে পুড়লে মাঠ পুড়বে
দাবানলে ছাই হবে শস্য বাথান, তোমাদের রসনা।
না, এ কেবল বাক্যক্ষয় নয়, অাপ্ত কথন নয়।


সময়ে কিছু কথা বলতে হয়, বলতেই হয়, হয়
‘কিছু কথাকে’ লুকিয়ে রাখতে, সময়ের অপেক্ষায়
তা তুমিও বোঝ, তবু মত্ততার এই মচ্ছবে মেতে
আজ তোমার কিছুই মনে থাকছে না, মনে রাখার
কোন দরকারও বোধ করছ না; তাই
এ আমার পশ্চাদপসারণ, বলতে পার।


কিন্তু আমি নির্বিরোধী, তোমাদের দেয়া এই দাহ
উপহার হিসেবে দেয়া তোমাদের এসব পীড়ন
ঠোঁটে পুরে দূরে উড়ে যাই, এ এক এমন জীবন
মনে হয় এ জীবন যেন মৃত্যুর মিছিলে-শবযাত্রায়
প্রাণোচ্ছ্বল শ্লোগান শোনা, সপ্রাণ পৃথিবী সবার
শুধু আমার না, এখন নয়, কখনো ছিল না।


বট ও পাকুড় (ফিরে দেখা)/ঢাকা
০৮.০১.১৯৯৪/রাত ০২.৩০/সূসেহ-ঢাবি
০৯ আষাঢ় ১৪২৩/শনিবার/২৫ জুন ২০১৬।