জীবন এখন নক্ষত্রময়, সীমাহীন আলোর বিন্দু
তার ভিতরেই জমে ওঠে কালো কৃষ্ণ গর্ত সিন্ধু
হেসে চলি আর ভেসে চলি, যা হোক চলার গতি
নক্ষত্ররাও ঘুমিয়ে পড়বে, আলোর সড়কে যতি।


অন্ধকারের আছে কতরূপ সেটাতো কেউ জানে না
আরো জানে না কখন সে এসে দুয়ারে দাগাবে হানা
প্রতিটি সেকেন্ড পবিত্র অতি, পবিত্র হোক দেহমন
কে জানে কখন আলো নিভে যাবে, আসবে মাহেন্দ্র ক্ষণ।


যারা ভেবে গেছে কাল কি করবে, মহা-কল্পনা নিয়ে
জানে না আদৌ ভোর হবে কি না নতুন উজল দিয়ে
আজ যারা ভাবে এই পৃথিবী তাদের পায়ের কাছে
নতজানু হবে জোড় দুই হাতে, খোদার রহম আছে।


জানে না তারা কার আয়ূ কত, খোদার চাওয়া কীসে
সেই নালায়েক আল্লাহ্‌র নামে জবাই করতে আসে
তাদের জন্য প্রস্তুতি নাও দেহ মন আশ-পাশে
শেখাও দেশের ভাষা সংস্কৃতি বাংলাদেশ প্রবাসে।


ধর্মের জ্ঞান অথবা যদি ভালবাসা মানবতা
শেখানো যেত সে সব মানুষে, ভুলে যেত মাদকতা।
যে মাদকের নেশায় ডুবিয়ে ফাঁদছে কষ্ট নীড়
তাদের জন্য করুণা ও ঘৃণা মনে করে আছে ভীড়।


যা কিছু দেখছ তোমার দু’চোখে সে দেখাই সব নয়
চোখের দেখার বাইরে রয়েছে আপার এর বিস্ময়
সে বিস্ময়কে বিস্মরণের মতো বড়ো ভুল করে
হারিয়ে যেওনা প্রতিফলনহীন নিকষ অন্ধ ঘরে।।


বট ও পাকুড় (জাগরণ)/ঢাকা
২৫ আষাঢ় ১৪২৩/শনিবার/০৯ জুলাই ২০১৬।