পুরাতন এসে কড়া নাড়ে মনের দরজায়,
শ্রাবণ হাওয়ার ঝাপটা লাগে গোপন প্রকোষ্ঠে,
দারুণ অহমিকায় উল্টে যায় চিন্তার পাতাগুলো
সাময়িক সৌর ব্যতিচার, এ কালের যোগাযোগ হতে
বিচ্ছিন্ন হয়ে আমি নতজানু হয়ে হাত বাড়াই ...


শ্রাবণের হঠাৎ তুমুল বৃষ্টি এখনো যেন
লেগে আছে ঠোঁটে, অমৃতের স্বাদ আস্বাদন।


পড়ন্ত দুপুরের অপ্রস্তুত মেঘ করে আসা
ছাতার বদলে মাথায় বই-খাতা-ফাইল কভার
দ্রুত আশ্রয় খোঁজা কোন শুন্য ক্লাশ ঘরে
হাইবেঞ্চের উপরে বসে অনির্দিষ্ট আলাপন,
জারুলের ভেজা গন্ধ বাতাসে জানালা গলে
বৃষ্টির কুচির ব্যকরণহীন প্রবেশ, শীতল স্পর্শ
রচনা করে রাখে, তাকে এবং আমাকে।


শ্রাবণের গোমড়ামুখো দুপুর এখনো যেন
অদৃশ্য সেলুলয়েডে বর্তমানে ফিরে আসে।


হঠাৎ কোন কাঠবেড়ালী চঞ্চল ছুটে চলা
তরতরিয়ে গাছের উপরে…চোখ চলে যায়
প্রসঙ্গহীন প্রসঙ্গ নিয়ে দীর্ঘ সংলাপ
মাঝে ঝালমুড়ি আর গোপন আবেগের তাপ
তোমার চারপাশে অদৃশ্য বর্ম রচনা করে রাখে,
যতটা কাল তুমি এ ব্যূহের ভিতরে ছিলে
ছিলে অক্ষত, সংযত, পরিমিত ও বিশেষ
পাশাপাশি অতিবাহিত প্রতিটি মুহূর্ত ইতিহাস।


আজ মরুর লু হাওয়ায় তুমি কোথায় পাবে
শ্রাবণের এই মন কাড়া রূপের ছোঁয়া!
তুমি হিমায়িত কক্ষের ঘুলঘুলিতে চোখ রেখে
বাইরে যতোই সাফারির খেল্ দেখো
ভিতরে তোমার পুড়তেই হবে, তপ্ততা
আমার বাংলার শোভা দেখেনি তোমার
যাপিত জীবনের মরু-বালিয়াড়ী!


আমার অন্তর্গত আষাঢ়-শ্রাবণ, মেঘ, বর্ষা-বাদল
অনন্ত মেয়াদে বাজতে থাকা সুর লহরী অথবা রোদন।


বট ও পাকুড় (ধ্যান)/ঢাকা।
০২ শ্রাবণ ১৪২৩/রবিবার/১৭ জুলাই ২০১৬।