ঔজ্জ্বল্য কমে যাচ্ছে, মোলায়েম আলোয় ভাসছে নিদাঘ
বারান্দায় অবসন্ন বেড়াল সামনের দু’পায়ের মধ্যে
মাথা নুইয়ে বিশ্রামরত, ধীরে ধীরে নাড়ছে লেজ,
পিছনে ক্রীড়ারত দু’টি ছানা, ইঁদুর বেড়াল খেলা;
এ খেলা শুরু মাত্র, চলবে সারাটি জীবন।


মৃত মানুষকে দেখি, জীবনের সমান আয়োজনে
নেমে যায় স্থায়ী অন্ধকারে, নৈঃশব্দের অখন্ডতায়
স্বাভাবিক মৃত বেড়াল চোখে পড়েনি কোনদিন
মরদেহগুলো কোথায় যায়? বেড়ালের আযু ক’দিন?


দৃষ্টির ক্ষীণতা, পেশীর ক্লান্তি সারাদেহে ছড়ায় শান্ত সাইরেন
বৌদ্ধের ধ্যানমগ্নতা পেয়ে বসে কলায়, স্নায়ুতন্ত্রে
জেগে উঠলেও গ্রাস করে নেমে যাবার নৈঃশব্দ
পুরো পৃথিবীকে মনে হয় বোধিবৃক্ষ ছাওয়া হেরার গুহা।
গুহা থেকে বেরিয়েই অঢেল আলোয় চোখ ধাঁধাতে পারে
একটু জিরিয়ে সয়ে নিতে চাই আলোর প্রাবাল্য।


বেলা পড়ে আসে.....আকাশে মেঘের ঘনঘটা
শরীরের উত্তাপ ছেয়ে দেয় শীতলতা, বেড়াল ঘুমায়।


বেড়াল জানে, ছানারা বড় হবে, নিদাঘ পেরিয়ে হাঁটবে
জনারণ্যে,
ছুটে যাবে ইঁদুরের দিকে, চুরি করে খাবে দুধ
কাঁটা-কুটা চাবিয়ে খাবে ভরপেটে...তারপর...খুঁজবে আস্তানা।
কোথায় পাবে? বোধিবৃক্ষের তলে? নাকি গুহায়?
প্রহরারত পায়রা কি তাকে লোভী করবে? নাকি ডুবে যাবে
মাংসমত্ততায়? নিজেকে ভাববে ব্যাঘ্রশাবক,
গেছো-মেছো বাঘ, নাকি সিংহছানা?
নাকি বনবিড়াল বা নেকড়ে হায়েনা!
            বেড়াল সে সব জানে না।


বট ও পাকুড় (আগাম)/ঢাকা।
০৫ শ্রাবণ ১৪২৩; বুধবার; ২০ জুলাই ২০১৬।