সাধারণের খোলস ছেড়ে ফেলে আজ
অামিও অসাধারণ হয়ে উঠছি ক্রমশঃ,
চারদিকে এতসব অসাধারণ ঘটনা প্রতিদিন
আমি গেঁয়ো মুর্খ্য সাধারণ থেকে কী হবে!
তাই অসাধারণ হবার পথে শপথ নিচ্ছি একটু একটু করে।


প্রথমেই শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলছি পুরাতন আলখেল্লা
পুরাতন চিন্তা-চেতনা ও বেশ-বাস, (সাবাস!)
দেহ-মনের সকল স্থবিরতা-জড়তা কাটিয়ে দীক্ষিত হচ্ছি
নতুন পথে-শপথে, অবয়বে, মন্ত্রে ও যন্ত্রে,
বদলে ফেলছি পিছনের জলছাপ, রং, প্রচ্ছদপট
বদলে ফেলছি উজ্জীবনী সুর-সঙ্গীত, শ্লোগান ও অভিজ্ঞান।


যে গতিতে শরু হয়েছিল গাঁয়ের মেঠো পথের বিবর্তন
নাগরিক খোলে প্রবেশ, তার চেয়েও বেশি গতিতে
চলছে গ্রুমিং, নির্জন জনারণ্যে, জনবসতিতে নিভৃতে।
পুরনো আমলের দরজা জানালা উঠোন, শাকসব্জী
পুরনো আমেজের কেতা-ধ্যান ধারণা, সাদার সঙ্গে
হাল আমলের প্রযুক্তি ও প্রেরণা, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
আধুনিক গ্রেনেড বোমা-ক্যাপ্টাগণ ও কালো পতাকা ও পাঞ্জাবী
সাথে মার্কিন-কানাডা-অস্ট্রেলিয়া বা
ব্রিটিশ রাজের আস্তিনের তলায় ওপেন-সিক্রেট বেজ-ক্যাম্প
তাদেরকে তরতাজা করছে, করছে উত্তর-আধুনিক।


পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মতো আমারও এখন গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছে
রক্ত, গোলা-বারূদ অথবা চাপাতি, ছুরি, ফাঁস-দড়ি;
মুহূর্মূহূ গোলার ভেতরেও বসে দিব্যি চিবুতে পারি খাদ্য
কোলাহলের প্রতাপের মধ্যে বসেও দেখতে পারি ইউটিউব(!)
মানুষ জবাই অথবা খুনের দৃশ্য আমাকে ব্যথিত না করে
করে প্রতিশোধ পরায়ণ অথবা চরম নির্লিপ্ত।


আমার সরল সবুজ মন এখন কেমন জানি রুখু-
মনে হচ্ছে ট্রান্সফর্মার আক্রান্ত।


অভিজ্ঞান-১
২৭ জুলাই ২০১৬/বুধবার/১২ শ্রাবণ ১৪২৩/ঢাকা।