+++++++++++++++++++++++++++++++
যেখানে মাথা তুলবার পর তোমরা মনে করো
অনেক উপরে উঠেছ, আকাশটাও ছুঁই ছুঁই
সেখানটাতেই তার পা ছিল, মৃত্যুর পরও
যদিও নামাতে চেয়েছিলে তাকে অনেক নিচে
মাটির কাছাকাছি, ব্যর্থ চেষ্টা তোমাদের, পারনি।


তাঁর মাথা ছিল অনেক উঁচুতে, যেখানে তোমরা
কোনদিনই যেতে পারবে না, তোমরা রাইফেল দেখিয়েছ
ভেবেছিলে ভয়ে কুঁকড়ে যাবে, নেড়ী কুকুদের যেভাবে
তোমরা গুলি করে মারো, শহর থেকে দূরে ফেলে আস
সেভাবেই তাকে নিঃশেষ করে দূরে-ভাগাড়ে ফেলে আসবে;
তোমাদের মস্তিস্কের পরিধি যতটা ততটাই তো ভাববে
ভেবেছিলে মাটি-জল-কাদা আর কচুরীপানা বৃক্ষলতা ঢাকা
মধুমতি বিধৌত টুঙ্গীপাড়া একটি ভাগাড় হবে!!
কী নিকৃষ্ট সংকীর্ণ চিন্তা তোমাদের ছিল!


ভেবেছিলে গুলিতে হত্যা করে তাকে নামিয়ে আনবে
উচ্চতা থেকে নীচুতে, পেরেছে কি? পার নি।
পর্বত সমান নিষ্প্রাণ দেহটিকে নিথর করে দিয়েছে
সিঁড়িতে, বাঙ্গালীর ক্রমঃ উত্তরণ ঘটেছিল সে সিঁড়িতে;
গুলি করে তার হৃদয় বিদীর্ণ করেছে, শতছিদ্র দিয়ে
যে রক্ত ঝরেছে তার ধারা কংক্রীটের সিঁড়ি ভিজিয়ে
সিক্ত করেছে বাংলাদেশের নদী-মাঠ-মৃত্তিকা, বাতাস ও মন;
তাঁর মাথা ঠুকে গিয়েছিল সিঁড়ির নিচের ধাপে,
পা যুগল তখনও উর্ধ্বে তোলা ছিল, দেখেছ তুমি
নমিত করতে পারোনি সে দৃপ্ত পা-কে।
সেই পায়েই আজো দৃপ্ত ভার রেখে এগিয়ে চলেছে
বাংলাদেশ.....ঘরে থেকে শহরে, নগরে, বন্দরে.....বিশ্বময়।


তাঁর মাথা ও হাত বা দেহ অথবা পশমের যোগ্যও তুমি নয়,
তোমার অবস্থান তার পায়ের সক্ষমতার ও অবস্থানের চেয়ে নিচে
তুমি কখনেই আর তাকে ছুঁতে পারবেনা।
রাষ্ট্র চালনার নানা ভুলে টানপোড়েনে তুমি হয়তো
কোন একদিন তাকে ছুঁইলেও ছু্ঁইতে পারতে,
মৃত বঙ্গবন্ধুর পদ-স্পর্শ করাও তোমার পক্ষে সম্ভব নয়,
এ তোমার চিরস্থায়ী অমোচনীয় পরাজয়।


+++++++++++++++++++++++++++++++