তিনি খুব ভোরে জেগে উঠলেন, খুব বিরক্ত মনে
তখনও আঁধার কাটেনি, কী একটা পাখি লাফিয়ে লাফিয়ে
মুখর করে তুলছে গাছপালা, বাহিরটা এখনো কুয়াশাময়;
ফিকে আধো ফোটা আলোয় কাঁচা পাকা লোমশ হাত দিয়ে
দরজাটা ঠেলে বেরিয়ে এলেন বাইরে, বারান্দায়। শিক গলে
নজর এখন বাইরে আকাশে...হয়তো আজই তার শেষ সকাল
আজকের সূর্যই তার শেষ সূর্যোদয় দেখা হবে, হয়তো
এই ভোর আর ফিরে আসবে না তার রেটিনায়!


বুক ভরা সাহসের হিমবাহ গলছে, কুল কূল করে গড়াচ্ছে জল
খুব ভিতরে, কেউ টের পাচ্ছে না, অথচ গলে গলে মহাসমুদ্র হয়ে যাচ্ছে
বেঁচে থাকাটা এত সুন্দর, এত অমূল্য, এত মহান, বুঝতে ভুল হয়েছিল
আসলে প্রজ্ঞা জিনিসটা জীবনের মতোই দুর্লভ-দুর্মূল্য।


কত লক্ষ কোটি টাকা-ডলার, কত লবিস্ট, বিলিয়ন ডলারের প্যাক্ট
কত কেরী, কত বার্গম্যান, আসলে আইজেন
সকলই বিফলে যায়? এক একটি ভোর কত মিলিয়ন ডলারে
কিনতে হবে? বেঁচে থাকার এই প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি শ্বাস বা প্রশ্বাস
কোটি কোটি মূল্যে ক্রয় করে আর কতটা সুকঠিন থাকা যায়!
পুঁজিরও তো একটা শেষ আছে, ফুরিয়ে আসছে আহ্নিক গতি
ফুরিয়ে আসছে বাতাস, ফুরিয়ে আসছে দম
অদৃশ্য বাহনে ছুটে আসছে জম! হাতে জমটুপি!
আহ!! তাকেও যদি কেনা যেতো ব্যাংক-বীমা..পাউন্ড ডলারে
যম সাহেবও যদি হতেন বিচারপতি....লিখে দিতাম...
এক একটা দিন না হয় হতো কোটি টাকায় নিলাম!!


অভিজ্ঞান/ঢাকা
২৭ আগস্ট ২০১৬/শনিবার/১২ ভাদ্র ১৪২৩।