ভীষণ বিরক্ত সে, এতটা না হলেও চলতো!
কিন্তু মন বিষিয়ে আছে, মুখাবয়বে প্রকাশ হয়ে পড়ছে।
গায়ের জামাটা অনেক জায়গায় ছিঁড়ে গেছে
সবুজ কোমল মখমলের বনের ভিতর দিয়ে ছুটতে ছুটতে
হঠাৎ উটকো পাথরে পা, হড়কে পড়েই কাঁটার ঘা
জামা ছিঁড়েছে, ছড়ে গেছে গতরের কয়েক টিস্যু।
গতি ক্রমশঃ মন্থর হয়ে যাচ্ছে, আবার কেন জানি না
আকাশে মেঘের আনাগোনা, পাতায় পাতায় অশরীরী
কীসের যেন আনাগোনা, বাতাসে ভাসছে চেনা-অচেনা গন্ধ
সে কিছুটা হতবিহ্ববল, কিছুটা ভীতও!


উঠে দাঁড়াতে যায়, পায়ে জোর পায় না, কাঁটা খুঁজে চলে
কাঁটা খুঁজতে খুঁজতে রক্তাপ্ত পা, সে এবার কিছুটা উদ্বিগ্ন।
সময় বহমান। বিন্দু বিন্দু রক্ত মুছতে মুছতে গায়ের
মখমল মসৃণ বেহেশতী পোশাকে আঁশটে গন্ধ
তার অনেক কিছু মনে পড়ে, এই গন্ধটি তার খুব পরিচিত।
না সে সে সব মনে করতে চায় না। আবার ছুটতে চায়।
আবার উঠতে চায়। কেন যেন এবারও সে পড়ে যায়।
আসলে পা সায় দিচ্ছে না, শরীরটাও অসহযোগিতা করছে।


তবুও সে প্রযোজনের লাঠিতে ভর করে উঠে দাঁড়ায়
রক্তাক্ত পায়ে কেঅঁড়াতে খোঁড়াতে এগিয়ে চলে..
কিন্তু পথ সরেনা পা থেকে, সে স্থবির হয়ে পড়ে।
চাপাশে কুয়াশার প্রান্ত অথবা নিবিড় অরণ্য,
সবকিছুই কেমন ধোঁয়াশাময়, বন্ধুর ও বিপরীত গন্ধময়
কোন কিছুই ঠিকমত ঠাহর হয় না, কালমেঘ আচ্ছাদিত।
কে যেন কানে কানে বলে যায়, ঘিরেছে আঁধার বেলা
পরিত্রাণ অনিশ্চিত, ঘোর গ্রহণ ঘিরেছে সারাবেলা।
সে নিতিয়ে পড়ে মাটিতে, মাটি প্রস্তুত...মৃত্তিকার সৈনিকরা
প্রস্তুত হয়ে আছে ... সব ঢাল তালোয়ার, নখ-দন্ত, জিহ্বা নিয়ে।