যতটা ভাবছি কথাগুলো ঠিক ততটা কঠিন নয়
তবু একেকটি শব্দের অভিঘাত ভরা কাটাল
ভাসিয়ে নেয় মনের উপত্যকা, উপড়ে নেয় কিছু
রক্ষাপ্রদ বৃক্ষলতা, সময়ের পুঞ্জীভূত অভিজ্ঞতার
ঘর-দোর-আসবাব-ফটোফ্রেম-পুরনো ক্যালেন্ডারের
না উল্টানো পাতা, দাগাঙ্কিত কতিপয় তারিখ।


কথার ভিতরে কিছু নেই, আছে পৃথিবীর বাইরে
কোন দূর নক্ষত্রলোকে, তারও চেয়ে দূরে অন্যমাত্রায়
না সেখানেও নেই; তাহলে আছে কোথায়?
সে সন্ধানই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অনুসম্বল, অবলম্বন
মনের ভিতরে যার জন্ম তার সন্ধান করি ব্রক্ষ্মান্ডময়;
কথাগুলো এভাবেই সর্বব্যাপী হয়। সবই মনের বিক্ষেপ।


কবিতার শরীরের ভিতরে ‘তুমি’র প্রবেশ দূষণীয় নয়
তবু সেটা কবিতাকে আলোকিত না করে করে বিচ্ছুরণময়।
কোন মুখ, কোন কোন স্মৃতি, কোন কোন চর্চা-অনুযোগ
আক্ষেপ-আফশোস অথবা প্রাপ্তির নানামাত্রিক আকাঙ্খা;
প্রাপ্তিই বা বলি কেন, প্রাপ্তি কি কখনো হয়?
যার ধন তারই রয়ে যায়, কখনো অন্যের হয় না, তবু
মন ভিন্ন অনুভূতির সঞ্চার ঘটায় যাকে প্রাপ্তির সমতূল্য
করে তোলে; তুমি হয়ে ওঠে আমিময়, আমি হয়
তুমি সর্বস্ব- কিন্তু স্থিতি কতকাল?
এই কথাটি সবচে’ সহজ বলে কি মনে হয় না?