সব খেয়ে যাচ্ছি, সব নিয়ে নিচ্ছি, সব কিছু চলে যাচ্ছে ভোগে
স্বপ্ন বিকিয়ে পাচ্ছি সাফল্য, পাল্টে যাচ্ছে পথ, সরল ছেড়ে বক্র
ইচ্ছা বিকিয়ে রুটি রুজি, উদর ভরছে একুশ শতকের বর্জ্যে
ভালবাসা থিতিয়ে জমছে তলানিতে, উপর থেকে তুলে নিচ্ছি
স্বেদ-কাম-ক্লেদ, সাথে উঠে আসছে অনাকাঙ্খত বীজাণু,
দায়িত্ব-কর্তব্য কবর দিয়ে চোখে ঠেসছি বহুমাত্রিক চশমা, এসবের
বাজার রমরমা; অবশিষ্ট কিছু কি থাকে! সর্বগ্রাসী ক্ষুধা ছাড়া?


এতটা নির্দয় লোলুপ হলে কি সমাজ চলে? চলে না মোটেও।
তাই এসে উৎসর্গ জোটে। উৎসর্গ করেছি মানবিকতাকে, ঠুলি
জড়ানো চোখে বিশ্ব দেখার আয়োজন এখন ভূমিস্থ, মঞ্চস্থ হচ্ছে।
এখন ভিংরেজী মাধ্যমে শেখানো হয় জ্ঞানের রেসিপি, নিজ ভাষা
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ফুটো থালা হাতে, প্রবেশাধিকবার নেই।
জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে অনুল্লেখ্য করেছি,
মাটি ঘাস ও নদী জ্বাল দিই আরবী উনুনে, আসলে পুড়ে চলি
সংস্কৃতি-কৃষ্টি সম্ভার; আরবী নয়-ইংরেজীও নয়, সরাতে চাই
বাংলার কারবার-পারলে মুছে দিতে চাই বাংলা নামের দেশ-
সেরা উৎসর্গ সেটাই। যদিও আমার চেতনায় সেটা
কোন আঁচড় কাটে না, আমি বাস করি কল্পিত সুখ স্বর্গে-
উৎসর্গের পরিপূরক আমার এ উন্নাসিকতা, তুলনা হয় না।