যতই দু’হাত প্রস্তুত করি নিবিড় মনে,
যতই বৈঠার নাও নিয়ে ঘুরে ঘুরে খুঁজে
তুলে আনি মাটির দঙ্গল গলুই ভরে,
যতই কুমোর পাড়া ঘুরে কাদামটি শানতে শিখি
যতই ঘুরাতে শিখি কুমোরের চাকা চারু হাতে;
গড়তে পারিনা কিছু সময়ের অসহযোগিতায়।


মাটি মাটিই থেকে যায়, দেহ পায় না কাদার দলা
শূন্য পড়ে থাকে পোড়ানোর উনুন, ধোঁয়া ওঠে
পাক খেয়ে উঠে যায় আকাশে, হৃদয় ফ্যাকাশে
কুমোর হয়ে ওঠা হয় না কোনমতেই।


কতবার গড়তে গেছি গৃহ, তারা বার বার
পর্বত হয়ে দাঁড়িয়েছে সামনে, আহত করেছে
বুঝবার কোন প্রয়োজন ছিল না তাদের, কী প্রিয়
কী রক্তজাত, কী গর্ভধারিনী, এইখানে সব এক।


তবে একটি গৃহ ঠিকই করে যাব প্রস্তুত
সেটাতে কারো কোন প্রয়োজন হবে না,
ঠিক নেমে যাবো তাতে কোনরকম সিঁড়ি-লিফ্ট ছাড়া
ঠিক সেখানে থাকবে মৃত্তিকার বিছানা নিষ্কন্টক;
একটি গৃহ ঠিক রচিত হবে সবার চোখের সামনে
কারো সাহস হবে না বুক চিতিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে
মৃত্তিকার অধিকার নিয়ে সগর্বে বলবে-‘না’।


আমার রাজসিক সেই গৃহাগমন (বা প্রত্যাবর্তন)
সুতীব্র অপেক্ষমান, তোমাদের কোন বাধাই
সেখানে কোন ছন্দপতন আনতে পারবে না।


আরশাদ ইমাম//২৭-০৯-২০১৬//মঙ্গলবার//ঢাকা।