পূর্ণিমা-
নিজেক প্রশ্ন করেছি, উত্তর খুঁজেছি, বিশ্লিষ্ট করেছি দেড় দশক
অপেক্ষার নীল শীতল রুমাল ধীরে ধীরে উড়িয়েছি
অক্ষোয় থেকেছি যমুনার পারে কখন ফোটে ধবল কাশ
আহ্বান জানিয়েছি দু’চোখকে ধীরে ধীরে শান্ত এবং
ধৈর্য্যশীল হতে; অপেক্ষার ফল পেয়েছি।
যদিও জানি, তোমার আর ফেরা হবে না শীল বাড়ির উঠোনে।


পূর্ণিমা, আমি পাপ করেছি, ক্ষমা চাই নি, তুমি জানো
তবে ভুল স্বীকার না করলেও ভুলের পাকে ভেসে যাই কিন্তু
সহস্রকালের গলিত নর্দমা আমাকে ভেসে নিয়ে যায় কাঙ্খিত নরকে
তুমি স্বর্গে বসো দেখো কিভাবে দোযখের আগুনে
পুড়ে. গলে মাংস-মজ্জা তরল হয়ে ঘৃতাহুতি দেয়!
আমার দহিত দেহ এখন লক্ষ কেটি অহিনিষ্ঠ, অনন্ত সময় বৃন্তে।
প্রিয়, আমি আমার কথা রেখেছি, জ্বালাতে পেরেছি শান্তির লোবান ।
আজ তোমার স্মৃতির ম্রিয়মান প্রদীপ আবার দেদীপ্যমান।
পূর্ণিমা, তুমি একটি প্রতীকের নাম।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিন্যস্ত সময়
০৮ অক্টোবর ২০১৬; শনিবার; ২৩ আশ্বিন//ঢাকা