কারাভানটি চলছিল রাব আল খালির ভিতর দিয়ে
লক্ষ লক্ষ মাইল বালিয়াড়ী, তার মধ্যে একটি সতেজ বৃক্ষ
যেমন বেঁচে থাকার চিহ্ন বহন করে এগোনোর পথ দেখায়
যেভাবে একটি মাত্র জলধার সকল তৃষ্ণা মেটানোর
স্বপ্ন দেখায়; তেমনি দুই যুগের এই যাত্রা পথে
একটি ক্রিয়া নতুন পৃথিবী নির্মাণের তীব্র শপথ
তুলে ধরে, সেটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় থাকে না।


যেদিন এই কারাভান থামবে, হয়তো কোন চেঞ্জিং পয়েন্টে
তুমি নির্দ্বিধায় নেমে আসতে পারো দরজা খুলে
রক্তাভ বালুকা তোমাকে স্বাগত জানাবে, অস্তায়মান সূর্য
তোমাকে অভিবাদন জানাবে আগামী পথের শুরুতে
যেখানে আমি থাকবো না, সাথে থাকবে কেবল
কোন এক অারব পেনিনসুলা, আর তোমার অন্ত্যজ।


আমাকে ভুলে থেকো, কিন্তু ভুলে যেয়ো না, কারণ
আমার এই কারাভানই তোমাকে তপ্ততার ভিতরে
ছায়া ও পিপাসার একমাত্র মালশা হয়ে বাঁচিয়ে রাখবে।


আরশাদ ইমাম//অন্তহীন গন্তব্যের পথিক
২৫ অক্টোবর ২০১৬/মঙ্গলবার/১০ কার্তিক ১৪২৩