সাঁওতাল পাড়ায় আগুন, আইন বলে কী?
জমি জিরোত সবই নেবে, চিনির বৃক্ষ ফলবে বলে
আঠারোশ’ একর ভূমি, এ আর এমন কী!


আইনটাকে বদলে বলো জমি নিলে ফেরত পাবে না
যা নিয়েছি, চিরতরে, জমির মায়া মনে রেখ না।
ষাটটি বছর, ধৈর্য্য ধরে শেষে পেলে কী?


কবে যেন লংকা থেকে এসেছিলাম ধনুক হাতে
জলে ভিজে রোদে পুড়ে, বুকে পিঠে আগুন ধরে
সাজিয়েছিলাম নিবিড় বনের সবুজ পরিধি।


জানিস কি তুই, মুন্ডা আমি, ষন্ডা-হাড়ি, ওঁরাও
আমার সাথে জ্ঞাতি-গুষ্ঠী, ভাই বেরাদার তোরাও
কীসের লোভে রক্ত লোলুপ, ঝরাস লালার নদী!


লোভের আগুন শ্মশান হবে, বাংলাদেশের মাটি
কে যেন সেই কবে নিল পোড়ামাটি নীতি!
সে প্রেতাত্মা আজো দেখি ঘাটের মড়ার সাথী।



না শীত-গরম, হাওয়া নরম, ধানও পাকে নি
শিশির এখন সুদূর কালের মনেও রাখেনি,
সে সব ফেলে আজ এ কালে উপহার নতুন
রাতের আকাশ উজল করে জ্বলে সুপারমুন।


সুপার কি না তা জানি না তবে চোখের মনি
তার আলোতেই দেখেছিল মনের শিল্পখনি
ঘিয়ের মতো কোমল আলোয় ভাসন চরাচর
এমন মধুর পূর্ণিমাতে ছাড়ি আপন ঘর।


সবুজ ঘাসের ভরা মাঠে জোছনা খেলা করে
গাছের পাতার ফাঁকে নতুন আলোর পুষ্প ধরে
এমন আলোয় কালো মনের ময়লা কী দূর হবে!
নাকি সবই বিফল করে আগুন পুড়িয়ে যাবে!


১৭ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ০৩ অঘ্রাণ ১৪২৩