গায়ে কাদা মাখা লুকোনা চেহারা একটি যন্ত্রযান
ছিনিয়ে নিয়েছে বাঙালীর মেধা মনন মথিত প্রাণ
আগেই শুরু সারাদেশ জুড়ে রাজশাহী বা চাটগাঁ
যেখানেই যাবে পাবে সে চিহ্ন বুদ্ধির হত্যা।


আমি বলছি পুরনো সে কথা ডিসেম্বরের রাতে
কীভাবে নিয়েছে ঘর থেকে তুলে সেই সব পরাজিতে
একাত্তরের ডিসেম্বরের চৌদ্দ তারিখে যার
চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে জিঘাংসা দুর্বার।


সে রাত ছিল ঘরে ঘরে জমা গোপন শোকের ঘাতে
থর থর করে কম্পমান এক মেঘে ঢাকা চাঁদ সাথে
পরের সকালে সূর্য ওঠেনি, বৃষ্টিও ঝরেনি (শুধু)
মনের আকাশে জমে থাকা মেঘ এক চুলও সরেনি।


একদিন পর বিকেল গড়াতে নতুন সূর্য ওঠে
রেসকোর্সের সেই ময়দানে এ্যাপলেট পড়ে লুটে
খুলে পড়ে যায় সেরা কাঁধ থেকে গর্বিত ল্যানিয়ার্ড
ভেবোনা এসব কষ্ট কল্পনা পুরোপুরি এ্যাবসার্ড।


ইতিহাসের এই খেরোখাতা আজ খুলছি দেরাজ থেকে
‘‘সারেন্ডার এ্যাট ঢাকা’’র কথা শুনেছে   কে কোন লোকে!
শোনেনি কেবল রাত পেরোনো কালবাদুরের দল
পালিয়ে গেছিল এই দেশ ছেড়ে রেখে বহুরূপী খল।


আজ দিন সেই খল নায়কের অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষে
পোড়াতেই হবে পিশাচ দেহকে অশ্রুমালাকে মুছে
আগামী সকাল আসবেই জেনো মেঘহীন নীল নিয়ে
কালোকে মাড়িয়ে আলোর প্রকাশ ঘটবে বুক ফুলিয়ে।


আরশাদ ইমাম/বিজয় দিবস/শুক্রবার/১ পৌষ ১৪২৩/ঢাকা।