কোন একটি মুখ আপন করে ভাবার তৃষ্ণা
আমাকে তোমার কত কাছে এনেছিল কৃষ্ণা
সে সেসব বিগত কয়েক যুগের ফাল্গুনের ঝরা ফুল
আজ এত বছর পরে দেরাজ খুলে যায় হঠাৎ
পুরো ডায়েরীর পৃষ্ঠায় এখন পরিত্যক্ত তীর্থযাত্রী
তোমার দেয়া এক মুঠো ঝরা পাপড়ির কফিন।


কোন এক বিষন্ন বিকেলকে আরেকটু বিষন্ন করা
কোন এক নিঃসঙ্গ দুপুর থেকে নিসঙ্গতার শেষ পালককে
খুলে ফেলে উন্মন হাওয়ায় উড়ে চলার অদম্য আকাঙ্খা
তোমার অজান্তেই তোমাকে নির্মাণ করে মস্তিস্কে,
জানি, তার সাথে তোমার কোন সংশ্রব ছিল না, কিন্তু
তোমার একটুকু প্রশ্রয় সাহস হয়ে এসেছিল সেদিন।  


আজ বসন্তের বিলাপের কাল, অবহেলার কলতান
আজ ফাল্গুন আসে, কিন্তু আগুনের তেজ কই!
আজও ফুল ফোটে, কিন্তু রূপের সেই জৌলুস দেখিনা
আজ এক তুমি আরেক তুমির তর্জনী আলিঙ্গন করে
কী সহজেই আলিঙ্গনের পাতার রহস্য জেনে ফেলছে
হয়তো এই জানাটাই রোদজ্বলা রং হয়ে ফুটছে ক্ষীণ।


আজ কৃষ্ণ নেই রাধাও নেই, ফাগুন নেই, গাঁদাও নেই
ব্যালকনিতে শোভা পায় ভায়োলেট আর্কেডিয়া, আর
তোমাকে না বলা কথা। বসন্ত যেন বিলাপের সুর না শোনায়
কথাটি মনে রেখে বাতাসে কান রেখো আমার বসন্ত দিন।


২৫ মাঘ ১৪২৩/মঙ্গলবার/০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ঢাকা।


উৎসর্গঃ যার জন্য লেখা, তাকে।