শুষ্কতার ধূসরতা পেরিয়ে বর্ষাতি মাথায় আসছে
বৃষ্টি-সবুজ-মুকুল ও নবীন জলে ভেজা ধুলোর সোঁদা ঘ্রাণ
প্রাণ পেতে শ্বাস টানি, মাটির এমন সুবাস....দু’টি মেলে না।
আকাশে আলোর ঝলক, মেঘ মল্লারের আসর বসছে
জলদ গম্ভীর টানে কখন যে সুর উঠবে গাঙ্গে
মাঝির চেয়ে তীব্র সুরেলা কণ্ঠে গাইবে ব্যাঙ..ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।


তৃষিত মাটিতে নেমে আসা বৃষ্টি পাণি প্রার্থী তন্বীর কামনা নিয়ে
আমি এই নাগরিক ঘেরাটোপে বন্দী, নিঃশ্বাসে খুঁজি বাংলা
অন্ধকার জমাট, তবু বার বার ছিন্ন ভিন্ন হয় বিদ্যুৎ-উদ্ভাসে
জানালার গারদ থেকে আমপাতার ফাঁক গলে চেয়ে থাকি দূর মাঠে
যেখানে মৃত্তিকার গভীরে লুকিয়ে অপেক্ষমাণ ঘাসের গর্ভবতী বীজ
এবং মাটির পোকা, নতুন জল কল্লোলে আসন্ন ক্রীড়ার জোর প্রস্তুতি।


আয় বৃষ্টি, আয় প্রাণের প্রদীপ হাতে এই রুখু জলহীন শুকনো প্রপাতে
ভাসিয়ে দে জীর্ণতার সব কুড়কুটো, ধুয়ে সাফ কর ক্লেদাক্ততা
আয় বৃষ্টি, আয় মেঘ-ডমরু, এসে ভাসিয়ে নিয়ে চল
ইদানিং মানব-মানসে জমা তেলচিটে সাম্প্রদায়িকতার কালি
আমি প্রত্যাশায় থাকি একটি বৃষ্টি বিধৌত আলোকিত সকালের
যেখানে ফুটে আছে ঘাসফুল ও কচি নিষ্পাপ নিষ্কলুষ তৃণলতা।


০৫ মার্চ ২০১৭/রবিবার/২১ ফাল্গুন ১৪২৩