মেঘ বৃষ্টিতে ছুটে চলা এক কিশোর আমি
ভেবেছিলাম দখিনা হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাব
কোন এক চৈত্রের দুপুরে।
ফাল্গুনী পূর্ণিমা আমার সে আশাকে কেড়ে নিয়েছিল।
আমি তখন স্বপ্ন দেখতাম,
সেই ঘুম কেড়ে নেওয়া বাসন্তী পূর্ণিমা
আমি মাতাল হব তার অপরূপ সৌন্দর্যে।
সেই কিশোর আমি
মহাকালের অতলে ডুব দিয়ে আত্মহুতি দিয়েছি
আমার সব দায় দেনা দিয়ে গেছে
আগুন লাগা যৌবনের রক্তচক্ষু কে।
এ আমি প্রতারক এর মত পালিয়ে বেড়িয়েছি
দক্ষিণ-পূর্বের পর্বত হতে নীলাভ সমুদ্রে,
সেই সমুদ্রের লোনা জলে
আমি ডুব দিয়ে শুনেছে
সেই কিশোর আমির কান্না ও আর্তনাদ।
আমি নির্জনে ছুটে চলেছি পাহাড়ে
বুকে কান পেতে শুনেছি তার ক্রন্দন,
আমি দেখেছি তার একাকীত্বের ভিতর
লুকিয়ে আছে শত মহিমা।
আজ বৃষ্টি নামে নুপুরের রুম ঝুম শব্দে
ফোটায় ফোটায় আজ রঙের ছোঁয়া
সেই রংধনুতে জীবনের অর্থ বদলায়
স্বাদ বদলায়, একদিন জীবন বদলে যায়।
আমার অস্থির এ যৌবন সব বাধাকে পিছনে ফেলে
আটকে আছে নিজের কাছে
এক অজানা বাধাকে আঁকড়ে ধরে।