নদী থেকে নিঃশ্বাস আসে ছুটে,
আমরা স্বাধীন... আমরা সার্বভৌম,
চাষী তার ধান কেটে ফেরে বাড়ি
সূর্যাস্তের আভা গায়ে মেখে
পাখি সব উড়ে যায় বাসায়।
মাঠ খেত শূণ্য হলে,
এপার বাংলা কেঁদে ওঠে
নিস্তব্ধ... নিশ্চুপ...নির্বাক।
আম-বট-কাঁঠাল-হিজল
জীবনানন্দের খোঁজে ঘ্রাণ।


নদীর ওপারে সৰ্ব সুখ,
এতো ওপার বাংলাও মানে না।
তারও চোখে জল আসে, বুক ফাটে।
রাজনীতি আর সমাজতত্ত্বের বাইরে
ওরাও ধর্মের সন্ধানে।
এ এক মানবধর্ম যার অপার শোভা
নদীর দু-পারকেই ঘিরে রাখে।


দুই পারে দুই দেশের দুঃখ
বহন করে, বয়ে চলে নদী।
দুই ধার তার এক হয়না বটে,
তবুও মোহনা তটে সব বোঝা
বিলীন হয়ে যায় একসাথে।
ওরা আশা করে, ভালোবাসার।


কিন্তু কবি,
তুমিই ঠিক বলেছিলে।
কেউ কথা রাখেনি...
কেউ কথা রাখে না।