একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল
দিঘির পাড়ে নদীর কূলে,
চরণ দুটি স্পর্শ করে
জলের তোড়ে মিষ্টি সুরে ।
আলতো বাতাস বয়ে চলে
স্পর্শ করে তনু তারে ।
মুখখানি তার মিষ্টি মধুর
সবাই দেখে যাচ্ছে সুদূর ।
রবি তাকে ঈর্ষা করে
দেখলে তারে দূরে চলে ।
হঠাৎ দেখি সেই মেয়েটি,
দেখতে পেল পাষাণ ঘাঁটি ।
কাহার যেন কন্ঠ শুনে,
পালিয়ে গেল দৌড়ে ছুটে
আঁচলখানি পড়ছে লুটে
চরণতল স্পর্শ করে ।


সেই মেয়েটি খানিক দূরে
দৌড়ে গিয়ে থমকে পরে,
হঠাৎ দেখে পক্ষীছানা
প্রথম জীবন মেলছে ডানা ।
সেই দেখে সে আনন্দতে
লুটিয়ে পড়ে নদীর তটে,
বালু তারে স্পর্শ করে
দুষ্টু ভেবে আঁকড়ে ধরে ।
দৌড়ে গিয়ে নদীর জলে
চুপটি করে ডুবটি মারে ।
জল দেখি হঠাৎ কেঁপে
আপন ভেবে সিক্ত করে ।


হঠাৎ দেখি সেই মেয়েটির
বক্ষ মাঝে ছাগলছানা ,
ছিন্ন তৃণ খাইয়ে দিয়ে
সে সত্যি যেন অন্নপূর্ণা ।
দিনের শেষে রাত্রি এল
অন্ধ গেল প্রভাত হল ।
আকাশ বাতাস উচ্ছ্বসিত
আনন্দে আজ মুখরিত ।
নবপ্রভাত নবীন সাজে
প্রস্ফুটিত গগণমাঝে
প্রভাত আলোয় উঠছে ফুটি
থসূর্যমুখী সেই মেয়েটি ।