পারমিতা,
একদিন তোমার বুকেও অদৃশ্য চর জেগে উঠবে
একদিন তোমার সুরেলা কণ্ঠেও বিষাদ ভুবনের সুর বাজবে
ঠিক দেখে নিও পারমিতা
একদিন তুমিও শূন্য হবে
আনন্দ নগরে দুঃখকে হারিয়ে!


পারমিতা,
দেখে নিও এভাবেই জমবে আঘাত হৃদ্যন্ত্রের খোলের ভাঁজে
একদিন আবেগের টুং টাং সব শব্দ মথির হবে।
ম্রিয়মাণ আলোয় কারণে-অকারণে দেখবে আমার ছায়ামুখ,
হাত বাড়াবার আগেই কুয়াশা হয়ে উঠবে ও চোখ পর্দা তোমার।
পারমিতা ঠিক দেখে নিও একদিন তুমিও শূন্য হবে!
যেমনটা শূন্য হয় জলভরা ফুটো কলস।


পারমিতা,
একদিন ফিরে না আসার প্রতিজ্ঞায় চলে যাবো
রেখে সব জঞ্জাল স্মৃতি।
হাতড়ে ফিরে পুরোনো চৌকাঠে রাখবে পা,
ঠিক দেখে নিও পারমিতা,
ঠিক এভাবেই.....


একদিন তোমার বুকেও জাগবে নীলাভ পাহাড়
যে সময়কে, অসময় বলে জমিয়ে রেখেছিলে
নামহীন স্বচ্ছ কাচের বাক্সে,
সেও একদিন হাফ ছাড়বে, সময় হারাবে তোমার।


ঠিক দেখে নিও পারমিতা, একদিন তুমিও
লুকিয়ে কাঁদবে, ঠিক একদিন চারপাশ এভাবেই তোমাকে তাঁতাবে।
পারমিতা চোখে না দেখতে পাবার তিয়াসের চেয়ে
বড় কি আর তৃষ্ণা হতে পারে?


পারমিতা,
একদিন তুমিও বুঝবে, কেন কবি লিখেছিল-
বুঝবে সেদিন বুঝবে।
কেন কবি লিখেছিল- অস্ত পাড়ের রবীর কাছে আমার খবর পুঁছবে ॥



::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::


কবিতার শেষ দুটো লাইনের জন্য বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।