কাল রাতে বয়ে গেছে ঝড়; দূর্দান্ত দাপটের সাথে।
কতদিন পর একটানা বৃষ্টি দেখলাম।
বৃষ্টি আমার পরম বন্ধু; সেই তো আমাকে ভাবতে শিখিয়েছিল।
বৃষ্টি দেখতাম বেড়ে উঠার বয়সে। আমরা তখন স্কুলে পড়ি।
তোমাদের বাড়ির দেয়াল টপকে যেতাম তোমার জানালার ধারে।


জানালায় চোখ রেখে বলতাম, অনি বাইরে আসো এখুনি বৃষ্টি নামবে?
তুমি হাত নেড়ে বলতে বাবা ঘরে আছে বকবে?
আমি তবুও থামতাম না। বলতাম অনি তোমাকে আসতেই হবে?
পরপর আমি জানালার ধারে গিয়ে কথার ঢেউ তুলতাম।
তুমি ভয় মাখা চোখে চেয়ে থাকতে কিন্তু আসতে না।
যখন বৃষ্টি নামতো আমি উদাস হয়ে ভিজতাম তোমাদের ঘরের কোনে।
চোখে তখন চাররঙ্গা স্বপ্ন তাই তোমার উপেক্ষা কষ্ট পেতাম না। ভালো লাগতো এই ভেবে যে, কোন একদিন তুমি হয়তো বকুনি উপেক্ষা করে আমার সাথে বেরুবে বৃষ্টিতে ভিজতে।
এরপর সেই থেকে আজ অবদি তোমার হাতে হাজার ফোঁটা বৃষ্টি পড়েছে বহুবার
হয়তো আরো হাজার কিংবা তারও চে’ বেশি পড়বে কিন্তু আমার সাথে তোমার আর বৃষ্টি ভেজা
কিংবা নুপুরে শব্দ তোলে দূর্বা মাড়ানো হবে না। কারণ সময় এখন বড় বন্দিশালা।


আজ ১০ই বৈশাখ;
বৃষ্টি সাথে করেই তোমাকে খুজতে বেরিয়েছি
অনি তুমি আগের ঠিকানায় ই আছো তো?
আজ মনে পড়ছে পুরোনো কথা;
আজকাল কত কিছু লেখা হয়,
কত চরিত্র রচনা করি কিন্তু তোমাকে নিয়ে কোন কিছু লেখা হয়নি কখনো।
এমনকি দু’লাইনের কবিতাও না অথচ আমরা কতো ভালো বন্ধু ছিলাম ঠিক হাতের উল্টো পিঠের মতো।
সাগরের অনেক বন্ধুর মাঝে অন্যরকম একটা বন্ধু হলো চারপাশে থাকা অসংখ্য দ্বীপ।
আমি সাগর ছিলাম চারপাশে ছিলো দ্বীপের মতো অনেক বন্ধু।
কেউ কারো জন্য থেমে থাকিনি প্রত্যেকেই কিছুনা কিছু অভিমান বুনেছিলাম মনের ভাজে।
আজ হঠাৎ সেই অজানা অভিমান ছিন্ন করে এসেছি তোমার কাছে
যদি দেখতে পাই সেই ছেড়া দ্বীপটাকে ।



===========================