অহমমিকায় পদভারী
মাটি, কাঁপে থরথর,
হায়! হায়! কী নামধারী
যেন আকাশসম বড়।


মানুষ হয়েও ফেরেশতারুপ
খোদার আসন ধরো!
সবার চে সেরা ভেবে হায়
রং তামাশা করো।


গরু-বাঘের সেই ঘটনা
আবার একটু পড়ো,
পদের ভার কমিয়ে এবার
উত্তম ধৈর্য ধরো।


গরুর পিছে বাঘ ছুটেছে
করবে টুকরো টুকরো,
গরু তখন লাফ ধরেছে
চার পা করে তার জড়ো।


সামনে ছিলো মস্ত পুকুর
পানি ছিলো না তারো,
কাদার ভেতর বাঘ আর গরু
মরো এবার মরো।


বাঘে বলে, ওরে গরু বল্
জায়গা ছিলোতো আরো,
তবুও কেন লাফ দিলি হায়!
দেখে কাদা ধ্যারো।


মরবো তো আজ দু জনই
বাঁচার উপায় করো,
গরু তখন চুপি চুপি কই
যাক না সময় আরো।


তোমার কী মালিক আছে?
বলবে হাত ধরো!
সিংহ বলে, রাজা আমি
এসব কথা ছাড়ো।


একটু পরে সন্ধ্যা নেমে
আধার হচ্ছে গাড়ো,
মালিক এসে পিটাই বাঘ
মরো এবার মরো।


রাজা বাঘের মৃত্য হলো
কষ্ট ছিলো না কারো,
গরুর মালিক গরুকে বলে
বাড়ির পথটি ধরো।


মালিক তোমার আল্লাহ তায়ালা
তাকেই স্মরণ করো।
নিজের পদের অহমিকা-ভাব
ছাড়ো এখনই ছাড়ো।


আপন করো কাছে দূরের
কিংবা ছোট বড়,
নিজেকে সদা ক্ষুদ্র ভেবে
কাজ কর্ম করো।


টেকের হাট, মাদারীপুর। তারিখ: ২৫/০৮/২০২১