স্বপ্নীল জোসনাস্নাত রাত
মধুময় স্বপ্নেই কাটছিলো।
দেখি প্রিয়সী ফিরে এসেছে,
যেন স্বর্গের অপ্সরী
হাস্যোজ্জ্বল মুখে পাশে শুয়ে আছে।
আমি আঁখি মুদে সবই দেখছিলাম।
প্রিয়া তার লালাভো নখ বিশিষ্ট
উজ্জল সরু আঙ্গুল গুলো
আমার ঠোট নাক চোখ মুখ স্পর্শ করে,
আমার ঝরঝরে অবহেলিত কেশে
উষ্ণ আদর বুলাচ্ছে।
তারপর প্রিয়ার নরম ঠোট
আমার কানের ছিদ্রের কাছে এসে
কোকিল কণ্ঠে ডাকছে!
প্রিয়!
প্রিয়!!
উঠো!
উঠো!!
আমি তোমার শুন্য বুকে ফিরে এসেছি।


ধড়ফড়িয়া উঠলো বুক
খুলে গেলো স্বপ্নীল চোখ।
কোথায়! কেহ নাই পাশে!
প্রিয়ার পরশতো নাই বাতাশে !


শুধু একমুঠো প্রভাতের রোদ
লেগেছে দক্ষিণের খোলা জানালায়।
সক্ খেলো মাংসালো হৃদয়!
হু হু করে কেঁদে উঠলো মন!
প্রিয়া নয়!
দেখি পাশের আম্রকাননের কোকিলেরা
প্রভাত বেলায় শুরু করেছে
যন্ত্রনাময় কুহু কুহু তান।
হায়! নিসঙ্গ জীবন।
হলোনা একাকীত্বের অবসান।