মেয়ের কথা বাবা তুমি
যখন বাসায় ফিরবে,
আমার জন্য ছামুচা-পুরি
ফুসকাও আনবে।


এক দুই তিন দিন
সপ্তাহ হয় পার,
পুরণ তো হয় না
মেয়েটার আবদার।


বেতন পেয়ে ভাবলাম
এভাবে আর না,
আজ পূরণ করবো
মেয়ের বায়না।


বেতন তুলে ধার দেনা
ওষুধের বিলটা,
মুদি দোকান ঘর ভাড়া
বিদ্যুতের বিলটা।


বসে আছে পাওনাদার
দিতে হবে তারটা,
কীভাবে সামলাবো
ভাই বলেন ঘরটা?


এই টা সেই টা
পকেট হলো একটা,
দিন দিন বাড়ছে
সব পণ্যের দামটা।


তারপরও কিছু টাকা
তুলে রেখে ভাবছি,
মেয়ের জন্য এবার আমি
নিয়ে যাবো কাচ্চি।


কতদিনের বায়না তার
পুরণ আমি করবো,
ঘরে ফিরে মেয়েটির
খুশি মন দেখবো।


এর মাঝে কল এলো
বাবুর খুব জ্বর,
ভয়ে কাঁপে থরথর
গিন্নির স্বর।


নাপা ড্রপ কাঁশির সিরাপ
ওষুধ নাও কিনে নাও,
সাথে এনো কিনে তুমি
লেকটোজেন ওয়ানটাও।


মাথা ঘুরে মাস শেষে
কাঁদে মন দিলটা,
কীভাবে পার করবো
এবার এই সালট!


এক মাস দুই মাস
চলে যায় নিত্য,
পকেট আমার খালি থাকে
চরম এক সত্য।


ফুচকা পুরি চটপটি
ছামুচার ঝাঁঝটা,
বঞ্চিত নিত্য হয়
আমার মেয়ের জিভটা।


হৃদয়ে রক্ত ঝরে
অশ্রু ঝরে নিত্য,
বাঁচবে কী করে বলো
যতো মধ্যবিত্ত?