এইখানে পথের ধারে
কিছু ঝোপঝাড়,
তারপরে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ।
শীতের শিশির ভেজা ঘাসের উপরে
দুর্বার ক্রিকেট,
কিংবা বর্ষার কাদাপানিতে
দুরন্ত ফুটবল।


ঐখানে মাঠের পরে,
বনের ভেতর
কতগুলো কিশোরের কোলাহল।
ডেউয়া আর মুরমুরি ফলের
টক মিষ্টি স্বাদ,
বেতঝোপের কাটা সরিয়ে
বেতুইনের কশে ভরা মুখ।


খানিক দুরে,
ঐ যে বাড়ির আংগিনা।
তারপাশে  ঐ
বাতাবী লেবু আর বকুল ফুলের গাছ,
পেছনে একটা করে হরিতকি আর আমলকি।
পড়ন্ত বিকেলে দাড়িয়াবান্ধা আর বউচি খেলা।
পুকুরপাড় থেকে শুরু হয়ে
ঐ যে কতদুর পর্যন্ত
সুপারি আর নারকেল বাগান।
গ্রীষ্মের দুপুরে, বাশের মাচায় দখিনা বাতাস।


ঐযে ঐ, আরেকটু দুরে,
স্কুলের পেছনে বর্ষার ভরা পুকুরে,
সাতারের নামে দপাদপি।
পাশের ক্ষেতে শীতের শুরুতে
ধান কেটে নেয়া এবড়োখেবড়ো মাঠে,
ডাংগুলির টুকটাক শব্দ।


রাস্তার ধারে ঐ যে মসজিদ,
ভেসে আসা আযানের সুমধুর সুর।
এশার নামাযের অপেক্ষা।
জানালা দিয়ে ভেসে আসা
হাস্নাহেনার গন্ধ।


এইখানে,
এই জনপদে, লোকালয়ে,
আমি খুঁজে ফিরি
আমার শৈশব, কৈশোর।
ফেলে আসা দিন।
সোনালী দিন।
আহা! শৈশব!