হে ওমর (র),
দেখে যাও কি নির্মম আজ
শিশু-নর হত্যার হানাহানী,
এর তেজ দমাতে প্রয়োজন
তোমার সেই অগ্নিবাণী।


আজ যদি ওমর বেঁচে থাকত
তবে কি হত এমন হানাহানী
আর শিশু-নর বলি?
কে হবে আজকের সেই ওমর?
হারিয়ে ফেলেছি যেন সবে
সাহসের যত ডালী!


দুই.
ঐ যে নর পিশাচ, হায়েনার কালো থাবায়
কেড়ে নিয়েছে শত প্রাণ,
ফেলানী, জ্যোতি, হামিদা, রাজন, মিনতিমুন্ডা
আরও কত নাম না জানা শত গোলাপজান!


কালো মেঘের ছায়ায়, রাতের আঁধারে
আর নির্জণ তেপান্তরে,
ওঁৎ পেতে থাকে শত শত নর-কীট,
এ যেন এক হায়েনা-শকুণীর দল
এখনই বুঝি হানবে
তরতাজা কোন হরিণীর প্রাণ-গীট!


তিন.
শত নির্মমতা, শত অত্যাচার
আর শত শত শিশু-নর হত্যা।
পাশে দাঁড়ায়ে র্যাব-পুলিশ
চেয়ে চেয়ে দেখে,
হায়েনারা সব যায় পালিয়ে,
অবশেষে আসে-
নিয়ে যায় মর্গে লাশ!


চার.
শত ডাক্তার, শত কবিরাজ
আর শত দরবার ঘুরে ঘুরে-
শত আপ্রাণ চেষ্টায়,
কারও প্রত্যাবর্তণ,
কারও বা সমার্পণ হয়
ঐ মাটিরই ঘরে।
আর শত হয়রানি হতে হয়
ঐ র্যাব-পুলিশের দ্বোর-গোড়ায়!


পাঁচ.
এ যেন আরেক হায়েনার কারখানা!
বিচারের বাণী যেথায় বারে বারে ফিরে,
শত কোটি হাহাকার উপেক্ষিত হয়ে যায়
ঐ ক্ষমতাসীন লোলুপ হায়েনার তরে!


জাগো হে ভীরু জনতা,
আর ঘুমিয়ে থেকো না
বেরিয়ে আস ঘর হতে রাস্তায়,
উমরের তেজে আজ তেজদীপ্ত হৃদয়ে
আস সবে,
লুফে নেব হায়েনার সব দল
এক বস্তায়।