পাহাড়ি ঢলের পানি, নীচে পাথর
করছি জলকেলি একটু পর পর।
.
মাঝখানে গভীর, দু পাশে হাটুপানির স্রোত
আনমনে দেখছি মাথার ওপর বিশাল পর্বত।
.
গাছ -গাছালির সবুজাভ, কোথাও পাথর
পাহাড় কেটে রাস্তা ঐ মাথার ওপর।
.
ঝর্ণাধারা দেখতে দুধ সাদা, শব্দ ভয়ংকর
প্রকৃতি রং দেখিয়ে চলছে যুগ - যুগান্তর।
.
লিখতে বসেছি, ঘুম ধরছে চেপে
রঙিন প্রকৃতির দৃশ্য দেখছি মেপে মেপে।
.
হয়নি দেখা এখনো, শুধু শুনেই গেলাম
প্রকৃতি বলে, সব রং নারী তোমাকে দিলাম।
.
নারীর ষোলকলা, এতো প্রকৃতির ভেলা
শক্ত মাঝি ছাড়া ভেলায়! বুঝবে ঠেলা,
ষোলকলার ফাঁদে, দিচ্ছে ধোঁকা কাহারে,
সে নিজেই জানেনা, তাই বলি নারী অবলা।
.
মায়ার চাদর বুনেছে সে, সবাই কে আটকে রেখেছে
মায়াজাল ছিন্নকারী, সে তো বেঁচে গেছে।
লতা পাতায় ঘিরে আছে, পত্রপল্লবের আড়ালে
আকাশ পানে আমি! অন্য আমি ও যে মেঘের আড়ালে।
.
রাত্রির আবছা আলোয়, থমকে আর দাঁড়াই না
পিছুটান ছিঁড়ে আজ আমি, বন্ধুর পথে ও একাকী, ভয় পাই না।