এখন আর আমাকে চাইছে না কেউ,না পিতা মাতা ভাই বোন ,কিংবা সমাজ পরিবার অথবা দেশ,
তাদের ধারণা,আমি এমন একজনের হয়ে যাচ্ছি যিনি--
দাস মুক্তির কথা বলতেন-
যিনি মানুষের সম্মান ও অধিকারের কথা বলতেন,
যিনি অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য বলার জন্য নিজ আত্মীয়ের বিরাগভাজন হয়েছিলেন,
তাকে জন্মস্থান থেকে পালাতে হয়েছিল ,
তিনি হিংসুকের তরোয়ালের নীচে দাঁড়িয়ে নির্ভয়ে উচ্চারণ করেছিলেন সৃজনকর্তার প্রশংসা
তাঁর জন্য ছারখার হয়েছিল অন্ধকারে রচিত মানব  জাতিকে তিলে তিলে হত্যা করার সামুহিক চক্রান্তের রূপরেখা,
এখন তারই নামে --
হৃদয়হীন জিরাফেরা শিখে গেছে মানুষের স্বাচ্ছন্দ্য কিভাবে ছিনিয়ে নিতে হয়,
কিভাবে উচ্ছেদ করতে হয় পৈতৃক ভিটাবাড়ি বাসস্থান ,জীবনের মৌলিক প্রয়োজন,
অথচ এই মানুষেরা জানে না,অপর একটা মানুষ কিভাবে অন্য মানুষের প্রয়োজন পূরণ করতে নিজের জীবনকে বাজি রাখতে পারে ....
এটাকে তোমরা হয়ত ভালোবাসা বলবে,কিন্তু মানবে না,মানা সম্ভব নয় সেজন্য ।
কারণ,প্রতিটি ভালোবাসা মানেই তো এক একটা মৃত্য ।
আর মরতে কে ই বা চায়  !!!!!
বাঁচো, এভাবেই বাঁচো
ধর্মের নামে নিরীহ দুর্বলকে হত্যা করে বাঁচো,
ক্ষুধার্তের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়ে বাঁচো,
কৃষক শ্রমিকের ঘাম রক্ত খেয়ে বাঁচো,
অসহায়ের দুর্দশা নামিয়ে এনে,ঘুঙুর পায়ে নেচে নেচে বাঁচো,
পিতা মাতা হয়ে,সন্তানের পোড়া মাংস খেয়ে বাঁচো,
পুত্র কন্যা হয়ে,পিতামাতার পাঁজরের কাবাব খেয়ে বাঁচো,
বেঁচে থাকার কথা উঠলেই
বমি পায়,
ঝিমিয়ে পড়ি,
নিজের রক্তের সমুদ্রে সাঁতার কাটতে কাটতে তোমাকেই ভাবি,
আর দেখি,মানুষের খাদ্য খোরাক,ধর্ম,পোশাক পরিচ্ছদ,সব কিছুতেই মানুষের মাথার খুলির ছবি,
মানুষ কবে পরিপূর্ণ রূপে মানুষের হবে প্রিয়া ???