পৈতৃক নামগুলি কীভাবে যে মুছে যায় বুঝতে পারি না,
প্রতিদিন এক একটা গুনগত উচ্চারণের প্রতীক্ষায় থাকে এই
আকাশ বাতাস জল মাটি,আর দুই কাঁধে উপবিষ্ট ফেরেস্তা মণ্ডলী,
এক একটা পতাকা ওড়ে ...।
লাল নীল সবুজ হলুদ কখনও বা আগুনের রঙে -
ইতিহাস রুপকথা ,বেড়ে ওঠার নির্মমতা দিয়ে
আমাকে বোঝায় সে ,'এই তো তুমি' !
এই তো সেই বিজয়ী পুরুষ পিতা কিম্বা প্রপিতামহ--
কোমরবন্ধে যার রাখা ছিল ক্ষমতার আদিম তরোয়াল !


সহস্র ক্ষতচিহ্ন ঢাকা থাকে নিরেট সুনীল অন্ধকারে ...
ভালোবাসা এসে থেমে যায়- নিম্ননাভির জো ওঠা-জমিনে।


তারপর শুরু হয় আরোগ্যের ছুরি কাঁচি, সুতিক্ত ঔষধের
একরোখা গলাধঃকরণ ,
প্রমত্ত স্বপ্নের নিকষ আঁধারে  ফের দৃষ্টিহীন তরোয়াল চালনার
খেলা,
স্বপ্নহীন নির্মম পুরাতন ক্ষতচিহ্ন খুঁচিয়ে তোলার অধ্যায় ..।


তারপরও একে তুমি বল-- সংসার
তারপর একে বল --সমাজ ! দেশ! , প্রেম কিম্বা দেশপ্রেম ??


অতীত কে ভুলে গিয়ে তুমি কী পারো না এই
বর্তমান মানুষটিকে মানুষ ভেবে নিতে ??
চতুষ্পদী জানোয়ার যখন পাচ্ছে এত স্নেহ আর পুজা
তখন মানুশের বর্তমান মেনে নিতে কেন এত দ্বন্দ্ব আর দ্বিধা ??