একটা ভেঙে গেলো মন
টুকরো টুকরো হলো কাঁচের মতন,
মনটা ছিল কাঁদা মাটির আদলে গড়া
আর হালকা হিলিয়ামের মতো সাজানো গোছানো
কোনো এক দারুন ছন্দের অবাক করা ছড়া,
কে জানে এটাই হয়তোবা অধরাকে ধরা,
অথবা মরণকে সামনে দেখেও জীবনকে
দেখে বাদুড়ের মতো ঝুলে পড়া |


সময়ের ঘড়িটাকে আঁকড়ে ধরে ছিল মনটা
যতক্ষণ ধরে থাকা যায়,
কিন্তু পারলোনা বেশিক্ষন
দুঃসহ জীবনের নাটাই কষ্টের সীমাবদ্ধতায়,
কোথায় যেন কোনো এক বাস্তবতার চরম পত্র লিখে
হারিয়ে বেড়ায়,
কোনো এক চলন্ত পাষণ্ড ট্রেনের নিচে
পিষ্ট হয় রক্ত ঝরাতে মনকে ভাঙার প্রতীক্ষায় |


আজকাল নাকি মানুষের হাতে মন বিক্রি হয়
যে মন থাকেনা নিজের হাতে
ক্রীতদাস হয় যায়,
আর চোখগুলো এলোমেলো পালতে চায়,
কিন্তু পালতে গিয়েও আটকে যায়,
কোনো এক বন মানুষের রক্ষণশীল আঙিনায় |


এটাই নাকি মন
নাকি নিজের হাতে বিবেককে টুটি চেপে ধরে
দুহাত তুলে অস্তিত্বের আত্মসমর্পণ,
ধারালো মনের আঘাতে মানুষের কংকালটায়
লেপটে থাকা চামড়ার বস্ত্র হরণ |
কে জানে কে বলতে পারে
হয়তো আজ পঁচে গেছে মন
যে মন স্বপ্ন দেখতো, স্বপ্ন দেখাতো
তা হয়েছে আজ দুর্বৃত্তের হাতে অপহরণ |


তবুও বলি মনকে ভাঙ্গা যত সহজ
গড়া তত কঠিন,
যে মন কাঁচের আয়নার মতো টুকরো টুকরো
হয় ভেঙেছে একবার,
তা হয়তো ঠুনকো ফানুসের মতো উড়ানোর
চলে দেন দরবার,
কিন্তু স্বপ্ন হারিয়ে যে বিশ্বাস হারায়
তা মানুষের কৃত্রিম শহরে ফিরে আসেনা আবার |


তবুও মনকে জোড়াতালি দিতে
খুঁজি এক আঠালো জাদুর চেরাগ,
যেখানে অনুভূতিগুলো কান্না হয় তারপর বরফ
কিন্তু আগুনের তাপে সেখানেও দেখি বাষ্পের ভাগ,
আর হার মানা জন্মের বেড়ে উঠা ঘাত প্রতিঘাত,
মানুষের ঝাঁঝালো মনের নিষ্ঠুর দাগ,
ভুলে যাক তবুও রংধনুকে শহরে অদ্ভুত অবাক
হয় নির্বাক |


তারপরও কান পেতে শুনি
মহাকালের সন্ধিক্ষণের ধ্বনি
যদি গড়া যায় মানুষের মন
অদ্ভুত শহরটা ব্যস্ত যখন
সময় যেখানে ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে
ফিরিয়ে আনে মনের মতো মন
নির্জলা মন
আগের মতন |