মা হয়তো দূর আকাশে তারা হয়ে গেছো তুমি
নাড়ির বন্ধন ছেড়ে চলে গেলে মা
পারলে মা তুমি এমন করতে
তুমি হয়তো জানোনা মাগো
কেঁদে কেঁদে আমি হয়েছি আগুন
সবাই বলে রং বদলের দিন, কাঁদতে নেই
বিবর্ণ বেদনার কান পেতে শুনি বসুন্ধরায় এসেছে বিরহের ফাগুন |
বাবা মনে আছে
আমার কচি হাতের আংগুল টেনে
হাঁটি হাঁটি পা তোমার মায়াবী চোখের ঝলকানিতে
ক্লান্ত শরীর নোনা ঘামে হয়েছে মনের কাছে খুন
বাবা তুমিও তো আমায় ছেড়ে চলে গেলে
যেতে পারলে বাবা, তোমার রোদে পোড়া চামড়ায় বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছি ফাগুন |
ভালোবেসেছিলাম প্রেয়সীকে
আমাকেও জীবন দিয়ে ভালোবাসতো
কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেনি সে
আমায় ছেড়ে পাড়ি জমালো না ফেরার দেশে
কতোটা দিন তোমার স্বপ্নে কেটেছে নির্ঘুম
তানপুরাটায় ময়লা জমেছে তবু বেঁচে আছো তুমি অন্তরে আমার
জাদুর বাঁশির নীল কষ্টে আবার ফিরে এসেছে বোঝা টানা দুঃসহ জল তরঙ্গের ফাগুন |
আমি এখন আর কাঁদিনা
ফুলদের দিকে তাকিয়ে দেখি মনের নাচন
ভিতরে দুখের বাস্প চেপে রেখে মুখের হাসি বুকের দ্রোহে জ্বালায় আগুন
আমি কেউ নই, আমি হাড় মাংসের রক্তে গড়া মানুষ
হাজার বছরের যন্ত্রণাকে উড়িয়ে দিয়ে আমি চিৎকার করে আম জনতার মিছিলে বলি
আবার এসেছে ফাগুন
আমার মনপুরা ফাগুন
জীবন্ত কিংবদন্তি কবিতার মতো জোনাকির আলোয় শিশির ভেজা চোখের আগুন
যেমন তোমার প্রথম প্রেমে পরে আমি তোমার আবেগের কাছে হয়েছিলাম খুন |