আমি নাকি মরে গেছি
দেহটা পড়ে আছে মাটিতে
আর আত্মাটা মিসাইলের  মতো
উড়ে গেছে ধূমকেতু ছেড়ে কোনো এক
মধ্যাকর্ষণের নিদ্রিত ঘঁটিতে |
সবাই দেখছে
বিস্মিত অর্থনীতির মুদ্রার মতো স্ফীত
কিন্তু মনে হল বোবার পৃথিবী,
সবার চোখগুলো রংবাজ হয়ে  ডায়ামন্ডের  
দামি চকচকে সদ্য বিবাহিত নারীর মতো
ব্যস্ত নগর,
যে জানেনা তার ভাগ্যের দুলটা
নোলকের কষ্টের মতো গড়তে পারবে কিনা জীবনের ঘর,
কান্না অঝোর,
যেমন জীবন্ত আর মৃত মিলে হয় পরস্পর;
তারপর
যদি ব্যর্থ হয় জীবন
সময়ের কলংকিত হিমালয়
হয়ে যায় প্রেতাত্মাদের শহর,
সবাই যেন আজ বেঁচে নেই পৃথিবীতে
লাশের মতো ঝুলন্ত বাদুড়গুলো লোভের মার্বেল পাথর
চেপে ধরে বুকে,
মনে হয় কোনো সুপুরুষ কিন্তু হিংস্র দানবের মতো
সে উঠে দাঁড়ায় আর মরে পাপের খরতাপে ধুঁকে ধুঁকে |
সব যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ
বদলে যায় নিমিষে,
মৃত  মানুষগুলো হয় জীবন্ত
আর জীবন্তগুলো মৃত,
অলৌকিক তারল্যের ঝিনুকমালা হাতে
সময় বলে এবার থামো, তোমার পাপ থেকে
নিজেকে করো বিরত,
নয়তো
আকাশ ভেঙে পড়বে কোনো এক গ্রহে উপগ্রহে
যেখানে সূর্যের তাপে মানুষের মন
জাদুকরী শক্তিতে সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত
অবিরত;
খোলা জাহাজের মাস্তুল ভেঙে
যাদের মনে পাপ তাদের জীবনে ঘটে যায়
মন পবনের দাম যত তত,
সব যেন এলোমেলো
অক্ষরগুলো মরুভূমির বালিঝড়ে
পাগল হয়,
উত্তাল নদীর মতো
যদি মানুষ মৃত আত্মাকে ফুরফুরে বাতাসে
ঝেড়ে ফেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতো;
সবটা হতেও পারে কিংবা হয়তোবা নয়
তবুও মানুষ যাত্রা করে
কোনো এক নিভৃত অরণ্যে,
যেখানে মানুষ হবে মন
মন হবে মানুষ, জীবন্ত ফেলে আসা অতীতের
মতো ধনে ধান্যে
অপরাহ্নে
আবার জেগে উঠবে মৃতদের বসুন্ধরায়,
জীবন্ত মানুষের আত্মাদের অসঙ্কোচিত অধ্যায়
বেঁচে আছি হয়তো আজও
তারি প্রতীক্ষায়,
যতক্ষণ অক্সিজেন  ছাড়া বৃক্ষের কোমল ছায়ায়
লিখবে এক কিংবদন্তি ইতিহাস
কংক্রিটের তরল আবহাওয়ায়
যে বেঁচে থেকেও নির্দয় পৃথিবীর কাছে মরে যায়  
অনাহুত অবলীলায়  |