কঠিন সত্যটাকে এই খোলা চোখের জ্বলন্ত আগুনে পুড়তে দেখেছি
হাতে তুলে নিয়েছে কঠিন সত্যের বাস্তবতা
নিভৃত হাজার প্রতিধ্বনিতে মেনে নিয়েছি প্রাচীন মনের প্রাচীন প্রথা
হয়তো বলবার ছিল অনেক কিছুই, তারপরও কিছুই বলিনি
শুধু নিঃশব্দে পাথরের মতো
বরফের জমাট বাধা মনের দোতারায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছি
ভাঙা কাঁচের টুকরো টুকরো গুঁড়ায় নিজের ঝুলন্ত
কষ্টের ফেরি করে মহাশুন্য ছেড়ে মহাকালে চলে গেছি
তবু ভেঙে পড়েনি,
এখনো হিমাদ্রির বুক চিরে এক বিন্দু সাধকের মতো বলতে পারি,
নিজের অবিচারের বিচার থেকে এক বিন্দুও সরে আসিনি
যেমন সিন্ধু থেকে সৃষ্টি হয় বিন্দু বাসিনি |
যারা লাল নীল বাতির কিংক্রিটের শীতল বাতাসে
নিষ্পাপ আত্মাদের কালো হাতের তেলেসমাতিতে নাটকের অপরাধী সাজায়
যারা নিজেদের সুখের খবর ছড়িয়ে
অন্যকে অসত্যের জালে ফেলতে উদগ্রীব হয়ে যায়,
তাদের বিচারের দাবিতে এসেছি আজ
আমরা যারা অত্যাচারিত, চোখে মুখে মিথ্যে কলংকের দাগ
রাগ অনুরাগ
যদি অভদ্র বাউন্ডুলে হতে পারতাম তবে শয়তানদের
মুখের কালো মুখোশ হাতের ঝটকা টানে খুলে আনতাম |
যদি মন থেকে ভাবো
আমরাও মানুষ, তারপরও যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও
তখনও সিংহের মতো গর্জন করে বলবো,
প্রকৃতি এক কঠিন সত্যের নাম যদি পারি তবে তার কাছে চলে যাবো
আর চাঁদনী রাতে কোনো এক ঘোর অমাবস্যায়
হয়তো মানুষ হয়ে অমানুষদের পাপের বিচার পাবো
তারপর ক্লান্ত বিকেলে পিছনের চাকাকে সামনে এনে
সভ্যতার আধুনিকতার ইতিহাস লিখে থমকে দাঁড়াবো
আর কাঁধে সত্যটা ঝুলিয়ে মানুষের কাছে ফিরে যাবো |
যারা এখনো মানুষ হতে পারেনি
যারা এখনো ভাবে হাতে তার নোংরা রাজনীতির তাস
তারা তো নীতির মানুষ নয়, হয়তো দুর্নীতির ক্রীতদাস
কিংবা সুবিধাবাদী চরিত্রের পরিহাস
যেখানে তাদের বাস সেখানে জীবনের সর্বনাশ;
একদিন যখন তাদের খণ্ডিত বিবেকটা বেরিয়ে আসবে ভিতর থেকে
সেদিন বলবে আমি তো এ জগতের কেউও নই
জন্ম আমার আজন্ম পাপ,
যদি পারো আমার জন্য খুঁজতে পারো নির্বাসনের বনবাস
কে জানে এটাও তাদের মধ্যে এখনো জাগ্রত হয় কিনা
যেমন সংগীত করতে গিয়ে বাজেনা হৃদয়ের রুদ্রবীনা |
হয়তো সব কিছু লোক দেখানো
ভিমরুলের চাক,
যেখানে অভিশপ্ত মুখ
আর মুখ লুকানো ছোট বড় চোরদের কলংকের দাগ |
ওরা সব পারে
দিনকে রাত, রাতকে দিন
প্রজাকে রাজা
আর রাজাকে প্রজা
হয়তো চারপাশেই তারা
এখন দরকার সেই নরমাংসের রাক্ষসদের খোঁজা
যদি তারপরও ঘাড় থেকে নামে প্রকৃতির পাপের বোঝা |